ফাইল ছবি
অতিমারি মানুষের রোজগার কাড়লেও উৎপাদন শুল্ক, সেস-সহ তেলের হরেক করের উপর নির্ভর করে সরকার যে রাজকোষ সামাল দিয়েছে, সম্প্রতি তা স্পষ্ট হয়েছে সংসদে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলির দেওয়া এক জবাবে। সোমবার লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারীর (দেব) এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে অর্থ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধরি জানালেন গত পাঁচটি অর্থবর্ষে শুধু তেলের উৎপাদন শুল্ক থেকে আয়ের অঙ্ক। সেখানে দেখা গিয়েছে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে, অর্থাৎ অতিমারির বছরেই এক লাফে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে ওই আয়।
দীপক জানতে চেয়েছিলেন, গত পাঁচটি অর্থবর্ষে তেল সংস্থাগুলির থেকে উৎপাদন শুল্কের সূত্রে কত রাজস্ব আদায় হয়েছে। তার কত শতাংশই বা পেয়েছে রাজ্যগুলি? অর্থ প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০১৭-১৮ সালে ওই খাতে আদায় হয়েছে ২,২৯,৭১৬ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ সালে ২,১৪,৩৬৯ কোটি এবং ২০১৯-২০ সালে ২,২৩,০৫৭ কোটি। কিন্তু তার পর ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তেলের উৎপাদন শুল্ক বাবদ সরকারের আয় এক লাফে অনেকটা বেড়ে পৌঁছে গিয়েছে ৩,৭২,৯৭০ কোটি টাকায়। গত অর্থবর্ষে তা সামান্য কমে হয়েছে ৩,৬৩,৩৫০ কোটি। মন্ত্রী আরও জানান, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, সংগ্রহ হওয়া এই শুল্কের থেকে রাজ্যগুলির মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে ৪১%। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ পেয়েছে ২৭১৫.৪২ কোটি টাকা।
একই দিনে সাংসদ মালা রায়ের প্রশ্নের লিখিত জবাবে চৌধরি জানান, গত তিনটি অর্থবর্ষে জিএসটির ক্ষতিপূরণ সেস খাতে সংগ্রহ হয়েছে যথাক্রমে ৯৫,৫৫১ কোটি, ৮৫,১৯১ কোটি এবং ১,০৪,৬০৯ কোটি টাকা। তবে বণ্টন হয়েছে ১,২০,৪৯৮ কোটি, ১,৩৬,৯৮৮ কোটি এবং ৯৭,৫০০ কোটি। পশ্চিমবঙ্গ পেয়েছে ৪৩৫৯ কোটি, ৫৭৭৬ কোটি এবং ৪৫৩১ কোটি টাকা। ক্ষতিপূরণ খাতের ঘাটতি মেটাতে বাজার থেকে ঋণ নিয়ে পাল্টা রাজ্যগুলিকে ঋণ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy