গৌতম আদানি। —ফাইল চিত্র।
আদানি কাণ্ডে বাজার নিয়ন্ত্রক সেবির তদন্তে বেশ কিছু অনিয়ম উঠে এসেছে বলে সূত্রের খবর হিসেবে দাবি করা হয়েছে সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে। কিন্তু সেখানে বলা হয়েছে, নিয়ন্ত্রণ বিধি অনুযায়ী ওই সব অনিয়মের শাস্তি নাকি শুধু আর্থিক জরিমানা। মঙ্গলবার এই রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে ফের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাল কংগ্রেস। আবার দাবি করল যৌথ সংসদীয় কমিটিকে (জেপিসি) দিয়ে তদন্তের।
বিভিন্ন সূত্রকে উল্লেখ করে প্রকাশিত কিছু রিপোর্টে বলা হয়েছে, সম্পর্কযুক্ত সংস্থার (রিলিটেড পার্টি) মাধ্যমে লগ্নির কথা শেয়ার বাজারকে জানায়নি আদানি গোষ্ঠীর সংস্থাগুলি। কোনও কোনও ক্ষেত্রে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থা ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার কিনেছে। এই দু’টিই বিধি লঙ্ঘন। যদিও তা স্রেফ ‘টেকনিক্যাল’, অর্থাৎ পদ্ধতিগত ত্রুটি। আর এই অনিয়মের সর্বোচ্চ সাজা জরিমানা। কংগ্রেসের বক্তব্য, এই রিপোর্ট যদি সত্যি হয় তা হলে বলতেই হবে যে, আদানিদের বিরুদ্ধে তদন্তকে লঘু করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এ দিন অন্য এক সংবাদমাধ্যমে দাবি, আদানি গোষ্ঠীর সংস্থাগুলির শেয়ারে ধস নামার সময়ে আর্থিক ভাবে লাভবান হয়েছে ১২টি লগ্নিকারী সংস্থা। এর মধ্যে কয়েকটি বিদেশের। অন্তত দু’টি ভারতের। একটি দিল্লিতে নথিভুক্ত। তারা উঁচু দামে শেয়ার ধার করে বিক্রি করে, পরে কম দামে তা কিনেছিল (শর্ট সেলিং)। তদন্তে তা জানতে পেরেছে ইডি।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ এ দিন এক্স হ্যান্ডলে অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্র এ দেশের প্রতিষ্ঠানগুলিকে নখদন্তহীন করে দিচ্ছে এবং তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে কাজে লাগাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের’ আড়াল করতে। রমেশের দাবি, একমাত্র জেপিসি তদন্তের মাধ্যমে আদানি কাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত সম্ভব। গৌতম আদানির সংস্থাগুলির সঙ্গে তাঁর দাদা বিনোদ আদানির আর্থিক লেনদেন এবং মোদী দেশে-বিদেশে কী ভাবে এই গোষ্ঠীর সুবিধা করে দিচ্ছেন, তা-ও উঠে আসবে জেপিসির মাধ্যমে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy