—ফাইল চিত্র
বছর শেষ হয়েছিল নজিরবিহীন উচ্চতা দিয়ে। নতুন বছর শুরুও হল একই ভাবে। ২০২০-র ৩১ ডিসেম্বর ৪৭,৭৫১ অঙ্কে পাড়ি জমানো সেনসেক্স শুক্রবার ২০২১ সালকে বরণ করল ৪৮ হাজারের আরও একটু কাছাকাছি পৌঁছে। ১১৭.৬৫ পয়েন্ট উঠে দিনের শেষে এই প্রথম তার দৌড় থেমেছে ৪৭,৮৬৮.৯৮-তে। এ দিন নিফ্টি-ও প্রথম বার থেমেছে ১৪ হাজারের মাইলফলক পেরিয়ে।
বেশ কিছু দিন টানা রেকর্ড গড়তে গড়তে এগোচ্ছে বাজার। করোনা হানার পরে মার্চে তা তলিয়ে গেলেও, পরবর্তী সময় বিবর্ণ অর্থনীতিকে তোয়াক্কা না-করে টানা উত্থানে ৫০ হাজারমুখি সেনসেক্স। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিমারি যুঝতে বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন দেশ ত্রাণ ঘোষণা করেছে। সেই অর্থের বড় অংশ বাজারে ঢুকছে। বিশেষত ভারতের মতো সম্ভাবনাময় অর্থনীতির দেশে। করোনা বিদায় নিলে যে দেশ বৃদ্ধির গতিতে অনেককে টেক্কা দিতে পারে বলে আশা বিদেশি আর্থিক লগ্নিকারী সংস্থাগুলির। প্রধানত তাদের লগ্নিতেই চাঙ্গা বাজার।
ভারতের শেয়ার বাজারে নাগাড়ে ঢুকছে ওই বিদেশি লগ্নি। গত বছর যার অঙ্ক ছিল ১,৬৫,৯৭২.৬৭ কোটি টাকা। সেনসেক্সের বছরভর মোট ১৫.৭% বৃদ্ধির ইঞ্জিনে সব থেকে বড় জ্বালানি। বাজার বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এ বছরও সেই বিনিয়োগ বহাল থাকবে। কারণ করোনার টিকা সকলের নাগালে এলেই গোটা অর্থনীতির ছবিটা বদলে যেতে পারে। তাই সেনসেক্সের ৫০ হাজার ছোঁয়া এখন সময়ের অপেক্ষা।
আরও পড়ুন: ভারতের নিন্দা, খাইবার পাখতুনখোয়ায় ভস্মীভূত মন্দির ফের গড়বে পাক প্রশাসন
আরও পড়ুন: আমেরিকার সেনার উপর হামলায় আফগান জঙ্গিদের মদত চিনের
যদিও সেই পথটা বাধাহীন হবে না বলেই মনে করেন একাংশ। যেমন, ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য বিধান দূগার বলেন, ‘‘শেয়ারের দাম বৃদ্ধিতে কৃত্রিমতা রয়েছে। কারণ, তার সঙ্গে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির সাযুজ্য নেই। তা ছাড়া, সংশোধন ছাড়া বাজারের এমন টানা উত্থান অস্বাভাবিক। বড় পতন আসতে পারে। হয়তো মার্চের শেষেই।’’ দূগার-সহ শিল্প ও বাজার মহলের সকলেই অবশ্য মনে করেন, তার পরেও ঊর্ধ্বগতি বজায় থাকবে। সেনসেক্সের চোখ যে ওই ৫০ হাজারেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy