জল সমস্যা। ফাইল চিত্র।
জল সঙ্কটে চেন্নাইয়ের মানুষের জীবনযাত্রা তো বিঘ্নিত হয়েইছে, থমকে গিয়েছে নির্মাণ শিল্পও। আর তা থেকেই শিক্ষা নিতে চাইছে কলকাতা। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই ‘ওয়াটার পলিসি’ বা জল নীতি তৈরির পথে এগোতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গের নির্মাণ শিল্প। প্রথম ধাপে ইতিমধ্যেই রাজ্যের সঙ্গে কথা বলেছে আবাসন নির্মাতাদের সংগঠন ক্রেডাই।
শিল্প বলছে, চেন্নাইয়ের জল সঙ্কট এতটাই যে, প্রকল্প ৬-৯ মাস পিছোচ্ছে। ক্রেডাইয়ের দাবি, জলের ট্যাঙ্কের দাম ১,৫০০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫,০০০ টাকা। উৎপাদন খরচ বেড়েছে ১০%-১৫%। জলের সমস্যা দেখা গিয়েছে বেঙ্গালুরুতেও। সম্প্রতি লন্ডনের একটি সংস্থা ‘ওয়াটার স্ট্রেস ইনডেক্স’ বা জল সঙ্কটের সূচক তৈরি করেছে। সেই সূচকে এই সঙ্কটের ঝুঁকির নিরিখে ভারত ৪৬তম স্থানে। চেন্নাই, বেঙ্গালুরু-সহ ১১টি শহরে ঝুঁকির মাত্রা সর্বাধিক। কলকাতার অবস্থা এতটা খারাপ না-হলেও, নির্বিচারে মাটির জল তোলায় বিপদঘণ্টি বাজিয়েছেন পরিবেশবিদেরা। তাঁদের মতে, রাজ্যের নানা জায়গায় আর্সেনিক, ফ্লোরাইডের সমস্যা রয়েছে। তার উপরে জনসংখ্যা যে হারে বাড়ছে, তাতে সব বড় শহরেই জলে টান পড়তে বাধ্য।
ক্রেডাইয়ের সর্বভারতীয় পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হর্ষবর্ধন পাটোডিয়া জানান, জাতীয় স্তরে জল নীতি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। একই সঙ্গে তা রাজ্যভিত্তিক হলে কাজের কাজ হবে। তিনি বলেন, ‘‘প্রতিটি রাজ্যের প্রাকৃতিক ও পরিকাঠামোগত পরিস্থিতি আলাদা। তা মাথায় রেখেই জল নীতি তৈরি করতে হবে।’’
নির্মাণ প্রকল্পে কাজ শুরুর জন্য পরিবেশ মন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনে ছাড়পত্র পাওয়া জরুরি। কিন্তু তাতেও যে ফাঁক থাকে, তা স্বীকার করেছেন ক্রেডাই বেঙ্গলের কর্তা নন্দু বেলানি। যেমন, বৃষ্টির জল ধরা বা জল শোধন করে তা পুনর্ব্যবহারের মতো নিয়ম বেশিরভাগ সময়ে খাতায়কলমেই থেকে যায়। তবে নির্মাণে যতটা জল লাগে, তার অনেকটাই প্রযুক্তিগত পরিকাঠামো থাকলে কমানো সম্ভব বলে তিনি মনে করেন। আর এই সব দিক মাথায় রেখেই আগেভাগে প্রস্তুত হতে চাইছে রাজ্যের নির্মাণ শিল্প।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy