বৈঠক: সোমবার দিল্লিতে নির্মলা সীতারামন ও শক্তিকান্ত দাস। এএফপি
রাজকোষ ঘাটতি মেটাতে কেন্দ্রের বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়া নিয়ে এক সময়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অন্দরেই আপত্তি ছিল। এ বার বাজেটে ভারতের বাইরে বিদেশি মুদ্রায় সরকারি ঋণপত্র (সভ্রেন বন্ড) ছেড়ে ঋণ নেওয়ার ঘোষণার পরে অর্থ মন্ত্রক অন্তত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে আলোচনা করবে বলে আশা গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের। বাজেটের পরে আজ দিল্লিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পর্ষদের সঙ্গে প্রথামাফিক বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তার পরেই এ কথা জানান গভর্নর।
আজকের বৈঠকেও ঋণপত্র নিয়ে কথা হয়েছে। পরে শক্তিকান্ত বলেন, ‘‘রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যেহেতু কেন্দ্রের ঋণ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে, তাই আমি নিশ্চিত যে, পরেও সরকার আমাদের সঙ্গে আলোচনা করবে। সেখানেই যা বলার বলব।’’ উল্লেখ্য, বিদেশি মুদ্রায় ঋণ নেওয়া ঝুঁকির বলে ইতিমধ্যেই মত দিয়েছেন সি রঙ্গরাজন, রাকেশ মোহনের মতো রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন শীর্ষকর্তারা। তাঁদের যুক্তি, এতে যথেচ্ছ ধার নেওয়া হতে পারে।
শীর্ষ ব্যাঙ্কের থেকে চলতি অর্থবর্ষে ৯০,০০০ কোটি টাকা ডিভিডেন্ড আশা করছে কেন্দ্র। এ প্রসঙ্গে আজ গভর্নর বলেন, ‘‘আয়-ব্যয়ের হিসেব ও অডিটের পরেই শীর্ষ ব্যাঙ্কের কেন্দ্রীয় পর্ষদ সিদ্ধান্ত নেবে।’’ তবে কেন্দ্র বাজেটে ঘাটতি ৩.৩ শতাংশে বাঁধার যে লক্ষ্য নিয়েছে, তা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন শক্তিকান্ত। তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্র ঘাটতি কম রেখে কম ধার নিলে, বেসরকারি শিল্পের ঋণের জন্য বেশি অর্থ থাকবে। কিন্তু ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আজ লোকসভায় প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা শশী তারুর। বাজেট বিতর্কে তাঁর প্রশ্ন, আয়কর, জিএসটি থেকে আদায় কমছে। তা হলে ঘাটতির লক্ষ্য পূরণ হবে কী ভাবে?
এ দিকে শিল্পের আশা, অগস্টে সুদ কমাবে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। কিন্তু সমস্যা হল, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদ কমালেও, ব্যাঙ্কগুলি কমাচ্ছে না। শক্তিকান্তের দাবি, আগে শীর্ষ ব্যাঙ্কের সুদ কমানোর সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছতে ছ’মাস লাগত। এখন দু’তিন মাস লাগছে। তাঁর যুক্তি, ধার দেওয়ার জন্য ব্যাঙ্কগুলির হাতে যথেষ্ট নগদ রয়েছে। তার পরেও সমস্যা হলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy