রাজ্যগুলির ঘাটতি কমানোর প্রয়াসের প্রশংসা করেছে আরবিআই। —ফাইল চিত্র।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ ও পরিবহণ বা কৃষি ঋণ মকুবের মতো ‘খয়রাতি প্রকল্প’ নিয়ে সতর্ক করল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। আজ শীর্ষ ব্যাঙ্কের দাবি, এই ধরনের কাজে অর্থ বরাদ্দের ফলে রাজ্যের জরুরি খাতে খরচের ক্ষমতা কমছে। মার খাচ্ছে সামাজিক এবং আর্থিক পরিকাঠামো উন্নয়নের সম্ভাবনা।
দিল্লি, পঞ্জাব-সহ বিভিন্ন রাজ্যেই এই ধরনের প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ করে সেখানকার সরকার। অভিযোগ রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিরুদ্ধেও। আজ ‘স্টেট ফিনান্সেস: এ স্টাডি অব বাজেটস অব ২০২৪-২৫’ শীর্ষক রিপোর্টে আরবিআই-এর বক্তব্য, এই অর্থবর্ষের বাজেটে বেশ কিছু রাজ্য কৃষি ঋণ মকুবের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কৃষিকাজ এবং সাধারণ মানুষকে দিচ্ছে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, আনা হয়েছে নিখরচার পরিবহণ ব্যবস্থা। বেকার যুব সম্প্রদায় এবং মহিলাদের ভাতা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। যার ফলে তাদের হাতে থাকা অর্থের অনেকটাই এই খাতে চলে যাচ্ছে। যে কারণে রাজ্যগুলিকে ভর্তুকি খাতে বরাদ্দ কমাতে তো হবেই, পাশাপাশি বুঝতে হবে যেন উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় টাকার অভাব না হয়।
তবে তার মধ্যেও রাজ্যগুলির ঘাটতি কমানোর প্রয়াসের প্রশংসা করেছে আরবিআই। বলেছে, ২০২১-২২ থেকে ২০২৩-২৪ সাল পর্যন্ত টানা তিন বছরে সামগ্রিক ভাবে রাজকোষ ঘাটতি ৩ শতাংশের নীচে বেঁধে রাখতে পেরেছে তারা। এমনকি ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ সালে রাজস্ব ঘাটতি ধরে রাখা গিয়েছে জিডিপি-র ০.২ শতাংশে। ফলে বেড়েছে রাজ্যগুলির মূলধনী ব্যয়ের ক্ষমতা। সঙ্গে তাদের দায়ের অঙ্ক ২০২১ সালের মার্চের জিডিপি-র ৩১ শতাংশের তুলনায় এ বছর মার্চে ২৮.৫ শতাংশে নেমেছে। এই অবস্থায় স্থানীয় প্রশাসনের কাছে ঠিকমতো খরচের অর্থ পৌঁছতে রাজ্য অর্থ কমিশনগুলিকে সুষ্ঠু ভাবে কাজে লাগানোর বার্তাও দিয়েছে আরবিআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy