গত মাসে মূল্যবৃদ্ধি (৫.৬৬%) তার নীচে নেমে ১৫ মাসের সর্বনিম্ন হয়। প্রতীকী ছবি।
চলতি মাসের ঋননীতিতে সুদ না বাড়ানোর কারণ হিসাবে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের বক্তব্য ছিল, তাঁরা একটু সময় নিচ্ছেন। দেখে নিতে চান গত মে মাস থেকে টানা ২৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদ বৃদ্ধির পদক্ষেপ মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানতে কাজে লাগল কি না। এই অবস্থায় আরবিআইয়ের সাম্প্রতিক এক নিবন্ধে দাবি, ঋণনীতি কাজ করছে। মূল্যবৃদ্ধির হার স্বল্প মেয়াদে শ্লথ হয়েছে। তবে যত দিন না তাকে ৪ শতাংশে নামানোর লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে, তত দিন ওই রাস্তায় হাঁটতে হবে।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, সুদের হার যে আরও বাড়ানো জরুরি, সেই ইঙ্গিতই এখানে স্পষ্ট। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর মাইকেল দেবব্রত পাত্রের নেতৃত্বাধীন দল নিবন্ধটি লিখেছেন। যদিও শীর্ষ ব্যাঙ্ক সব সময়ই দাবি করে, এখানে প্রকাশিত মতের সঙ্গে তাদের বক্তব্যের মিল না-ও থাকতে পারে। বিশ্লেষকেরা অবশ্য বলছেন, সরকার রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ককে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার ৪ শতাংশে বেঁধে রাখতে বলেছে। উপরে-নীচে বাড়তি ২%। অর্থাৎ সর্বোচ্চ সহনসীমা ৬%। গত মাসে মূল্যবৃদ্ধি (৫.৬৬%) তার নীচে নেমে ১৫ মাসের সর্বনিম্ন হয়। বেশিরভাগ বিশ্লেষকেরই আশা, চলতি বছরে আর সুদ বাড়াবে না আরবিআই। আগামী বছরের গোড়ার দিকে কমানো হতে পারে ২৫ বেসিস পয়েন্ট। তাঁদের মতে, মূল্যবৃদ্ধির ৪ শতাংশে বেঁধে রাখার লক্ষ্যপূরণের সম্ভাবনা এখনও চোখে পড়ছে না এবং আরবিআই তা নিচু আর্থিক বৃদ্ধির মূল্য চুকিয়ে অর্জনও করতে চাইবে না।
নিবন্ধে বলা হয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতি অনিশ্চিত। যা আর্থিক পরিস্থিতিকে অস্থির করে রেখেছে। তার মধ্যেও ভারতের পরিষেবা ক্ষেত্র ঘুরে দাঁড়িয়েছে। চাহিদা মাথা তুলছে। ঋণনীতি ও জোগান বৃদ্ধির হাত ধরেই মূল্যবৃদ্ধি গত বছর এপ্রিলের ৭.৮% থেকে কমে গত মাসে ৫.৭% হয়েছে। জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে ৫.২ শতাংশে নামবে বলে অনুমান। দাম সহনসীমার মধ্যে এলে এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা ফিরলে পোক্ত হবে অর্থনীতির ভিত। মাথা তুলবে বৃদ্ধি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy