—প্রতীকী ছবি।
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। ডিসেম্বরের মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠকে এর সম্ভাব্য হার সংশোধন করল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের দেওয়া সম্ভাব্য সূচক দেখে আর্থিক বিশ্লেষকদের অনুমান, বড়দিনের মুখে আরও বাড়তে পারে জিনিসপত্রের দাম। আগামী বছরের (পড়ুন ২০২৫) আগে মূল্যবৃদ্ধির ছ্যাঁকা থেকে রেহাই মিলবে না বলেই মনে করছেন তাঁরা।
শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠক শেষে সম্ভাব্য মুদ্রাস্ফীতির হার ঘোষণা করেন আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। তিনি জানিয়েছেন, চলতি আর্থিক বছরে (২০২৪-২৫) মুদ্রাস্ফীতির হার দাঁড়াবে ৪.৮ শতাংশ। এই অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর) এই সূচক বেড়ে পৌঁছবে ৫.৭ শতাংশে। কিন্তু চতুর্থ তথা শেষ ত্রৈমাসিকে (জানুয়ারি থেকে মার্চ) মুদ্রাস্ফীতির হার নেমে ৪.৫ শতাংশে নেমে আসবে বলে মনে করছে আরবিআই।
আর্থিক বিশ্লেষকদের কথায়, অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে মুদ্রাস্ফীতির হার প্রায় ছ’শতাংশে পৌঁছলে অগ্নিমূল্য হতে পারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। খাদ্যদ্রব্য থেকে ফার্মা সামগ্রীর উপরেও এর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বছরের সেপ্টেম্বর থেকে মূল্যবৃদ্ধির সূচক যে ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, তা স্বীকার করে নিয়েছে আরবিআই। বড়দিন ও বর্ষশেষে সেই লেখচিত্রে পতন দেখা যাবে বলে একরকম জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।
এ দিন আগামী আর্থিক বছরের (২০২৫-২৬) প্রথম (এপ্রিল থেকে জুন) ও দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর) ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাব্য হার ঘোষণা করেন আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। ওই দুই ত্রৈমাসিকে সিপিআইয়ের মুদ্রাস্ফীতির হার ৪.৬ এবং ৪ শতাংশ থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এতে যাবতীয় ঝুঁকিগুলি সমান ভাবে ভারসাম্যপূর্ণ থাকার বিষয়টি স্পষ্ট করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।
এর আগে গত অক্টোবরে মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠক হয়েছিল। সেখানে চলতি অর্থবর্ষে (২০২৪-২৫) মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাব্য হার ৪.৫ শতাংশ থাকবে বলে জানিয়েছিল আরবিআই। ডিসেম্বর এবং মার্চ ত্রৈমাসিকে এর সূচক যথাক্রমে ৪.৮ এবং ৪.২ শতাংশে পৌঁছনোর পূর্বাভাস দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। সংশোধিত মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাব্য হারে তিনটি ক্ষেত্রেই সূচক বৃদ্ধি পাওয়ার ইঙ্গিত মিলল।
এ প্রসঙ্গে আরবিআইয়ের গভর্নর বলেছেন, ‘‘অক্টোবরে সহনশীলতার সীমা পেরিয়ে ছ’শতাংশে চলে যায় মুদ্রাস্ফীতির হার। সূচকের এই ঊর্ধ্বগতির নেপথ্যে মূল অনুঘটকের কাজ করেছে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি। এর চাপ ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকেও স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জানুয়ারি থেকে মুদ্রাস্ফীতির সূচক নিম্নমুখী হবে বলে আমরা আশাবাদী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy