—প্রতীকী ছবি।
ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের। এর লেনদেনের ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে বারবার সতর্ক করেছে তারা। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানালেন, এই উদ্বেগের কথা তাঁরা কেন্দ্রকে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে তাঁদের কোনও দ্বিমত নেই। ঘটনাচক্রে এ দিনই ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেনকে নজরদারিতে আনতে বিজ্ঞপ্তি জারি করল কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক। জানাল, এর জন্য সংস্থার অডিট সংক্রান্ত বিধি সংশোধন করা হয়েছে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে সমস্ত সংস্থাকে জানাতে হবে তারা ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন করে কি না। করলে চলতি অর্থবর্ষ থেকে শুরু করে সেই লেনদেনের সবিস্তার হিসেব পেশ করতে হবে। দেখাতে হবে লাভ-ক্ষতির অঙ্ক।
ক্রিপ্টোকারেন্সির বাড়বাড়ন্ত আটকাতে প্রথমে তার উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশ খারিজ করে দেয়। এই পরিস্থিতিতে গত জানুয়ারিতে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ইঙ্গিত দেন, এই ধরনের নতুন লেনদেন ব্যবস্থা নিয়ে কিছুটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যেতে পারে। তাতেই তৈরি হয় ধোঁয়াশা। আবার অনেকের মতে, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের প্রস্তাবিত ডিজিটাল মুদ্রার কথাই বলতে চেয়েছিলেন নির্মলা। তবে কেন্দ্রের এ দিনের নির্দেশিকায় সেই ধোঁয়াশা কিছুটা কাটবে বলে মনে করা হচ্ছে। এক সরকারি আধিকারিকের বক্তব্য, অনেক সংস্থাই তাদের গ্রাহকদের ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন করে বড় রিটার্নের লোভ দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ আসছিল। আবার এর ফলে বহু মানুষের আর্থিক ক্ষতিও হয়েছে। এই অবস্থায় এই ধরনের লেনদেনকে নিয়ন্ত্রণ করতে কেন্দ্রকে পদক্ষেপ করতেই হত।
এ দিন শক্তিকান্ত বলেন, ‘‘শীর্ষ ব্যাঙ্কের নিয়ন্ত্রিত ডিজিটাল মুদ্রা এক জিনিস। আর বাজারে লেনদেন হওয়া ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পূর্ণ অন্য ব্যাপার। কেন্দ্র ও রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক, দু’পক্ষই আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষার ব্যাপারে এক মত।’’ গভর্নর আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে সরকারের অন্দরে আলোচনা চলছে। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের প্রস্তাবিত ডিজিটাল মুদ্রা নিয়েও কাজ শুরু হয়েছে। চলছে এই মুদ্রা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তির কাজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy