রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। —ফাইল চিত্র।
বন্ধকহীন ব্যক্তিগত ঋণের ঝুঁকিতে রাশ টানতে সম্প্রতি সেই ক্ষেত্রে ঝুঁকি মাপা ও নজরদারির নিয়ম আরও কঠোর করেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। শীর্ষ ব্যাঙ্কের সেই পদক্ষেপে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির মোট মূলধনের প্রয়োজন ৬০ বেসিস পয়েন্ট বাড়বে বলে ধারণা মূল্যায়ন সংস্থা এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংসের। পাশাপাশি, স্টেট ব্যাঙ্কের অর্থনীতিবিদদের বক্তব্য, ঋণের পরিমাণের নিরিখে মূলধনের এখনকার হার (ক্যাপিটাল অ্যাডিকোয়েসি রেশিয়ো বা সিএআর) বজায় রাখতে হলে ব্যাঙ্কগুলির আরও ৮৪,০০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত পুঁজি লাগবে। এর ফলে বিশেষত যে সব ব্যাঙ্কের সিএআর কম, তাদের সমস্যা বাড়বে বলে মনে করছেন আর্থিক ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞেরা। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, নিয়ম অনুসারে ঋণের পরিমাণ ও তার উপর ঝুঁকির মাপের ভিত্তিতে ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দিষ্ট হারে মূলধন সংগ্রহ করতে হয়।
আরবিআই-এর নির্দেশ, ব্যক্তিগত ঋণ ও ক্রেডিট কার্ডের মতো বন্ধকহীন ঋণ এবং ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক সংস্থাকে (এনবিএফসি) দেওয়া ঋণে ঝুঁকির মাপ বা রিস্ক ওয়েটেজ ২৫ শতাংশ বিন্দু করে বাড়াতে হবে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে। এর জেরে দেশে ওই ধরনের ঋণ পরিষেবার একাধিক ক্ষেত্র প্রভাবিত হতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। যেমন, এ জন্য অতিরিক্ত মূলধন সংগ্রহের খরচ তুলতে ওই সব ঋণে সুদ বাড়াতে পারে ব্যাঙ্কগুলি। কমাতে হতে পারে ঋণের পরিমাণও।
ইউনাইটেড ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিএমডি ভাস্কর সেন শনিবার বলেন, ‘‘যে সব ব্যাঙ্কের পক্ষে অতিরিক্ত মূলধন সংগ্রহ করা সম্ভব হবে না, তাদের ওই ঋণে বেশি করে রাশ টানতে হবে। ফলে বাজারে কমতে পারে সেই ধরণের ঋণ।’’ সামগ্রিক ভাবে ব্যাঙ্কিং শিল্পের উপরে যার প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy