আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। —ফাইল চিত্র।
রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের কাজে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের অভিযোগ বহু দিনের। তবে তাঁর প্রায় ছ’বছরের মেয়াদে কেন্দ্রের সঙ্গে ‘সুমধুর’ সম্পর্কই বহাল রয়েছে বলে জানালেন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তাঁর দাবি, ‘‘কেউই মনে করে না যে শীর্ষ ব্যাঙ্ক চিয়ারলিডার হবে।’’ সেই সঙ্গে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার মজবুত জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে জানিয়ে দাস বলেন, মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার দিকেই মন দেওয়া হবে।
প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন, উর্জিত পটেলের আমলে শীর্ষ ব্যাঙ্কের উপরে কেন্দ্রের চাপ নিয়ে বারবারই প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি রাজনের রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর পদে না ফেরা ও মেয়াদের আগে পটেলের সরে যাওয়ার ক্ষেত্রেও মোদী সরকারের হস্তক্ষেপ অন্যতম কারণ বলে তুলে ধরে বিভিন্ন মহল। শক্তিকান্ত গভর্নর হওয়ার পরে তিনি সরকারের বিভিন্ন দাবি মেনে নেবেন কি না, সেই প্রশ্নও উঠেছিল।
দাসের যদিও দাবি, ‘‘কেউই আশা করে না যে আরবিআই ‘চিয়ারলিডার’ হবে। অন্তত আমার অভিজ্ঞতা তা বলে না।’’ তিনি বলেন, কেন্দ্রের সঙ্গে শীর্ষ ব্যাঙ্ক মিলে কাজ করার ফলেই অতিমারির ধাক্কা অনেক দ্রুত সামলে উঠতে পেরেছে অর্থনীতি। তবে ভবিষ্যতে ফের এই পদে ফিরবেন কি না সেই প্রশ্নের উত্তরে গভর্নরের বক্তব্য, আপাতত বর্তমান মেয়াদে কাজ
করতেই তিনি আগ্রহী। সেই প্রসঙ্গে মূল্যবৃদ্ধিকে লক্ষ্যে বেঁধে রাখতে তাঁরা জোর দেবেন বলে জানান শক্তিকান্ত।
উল্লেখ্য, খাদ্যপণ্য-সহ অত্যাবশ্যক জিনিসেরপত্রের চড়া দামে জেরবার সাধারণ মানুষ। তবে সম্প্রতি নানা মহলে চড়া সুদে বৃদ্ধি ধাক্কা খাচ্ছে কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে। ঋণনীতি কমিটির একাধিক সদস্য সুদ কমানোর সওয়াল করেছেন। দাসের যদিও মত, দীর্ঘ দিন সুদ স্থির থাকলেও, বৃদ্ধিতে প্রভাব পড়েনি। গত তিন বছর গড় জিডিপি ৮.৩%। চলতি অর্থবর্ষে তা ৭.২% হবে আশা। এখন মূল্যবৃদ্ধি, বিশেষত খাদ্যপণ্যের দামে রাশ টানতে পদক্ষেপ করার সময়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy