প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাহুল গান্ধী। —ফাইল ছবি।
বেসরকারি এঞ্জিনিয়ারিং সংস্থায় শূন্যপদ মাত্র ১০টি। তার জন্য ভিড় করেছিলেন ১৮০০ প্রার্থী। ভিড়ের চাপে বেসরকারি সংস্থার দফতরের বাইরের রেলিং ভেঙে পড়ল। ছ’জন রেলিংয়ের সঙ্গেই মাটিতে পড়লেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ বাজেটের আগে দেশের বাছাই করা অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। সেই সময়ই মোদীর নিজের রাজ্য গুজরাতে ভারুচে এই বিপত্তি। ঘটনাটির দিকে আঙুল তুলে আজ লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ফের মোদী সরকারকে বেকারত্ব নিয়ে নিশানা করেছেন। নরেন্দ্র মোদীর ‘গুজরাত মডেল’ নিয়েও এ দিন প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। রাহুলের বক্তব্য, ‘‘বেকারত্বের অসুখ ভারতে মহামারির চেহারা নিয়েছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি এই বেকারত্বের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। একটা সাধারণ চাকরির জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ধাক্কা খাওয়া শুধু ভারতের ভবিষ্যৎ নয়, নরেন্দ্র মোদীর অমৃতকালের বাস্তবতা।’’
সূত্রের খবর, আজ নীতি আয়োগের দফতরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অর্থনীতিবিদদের বৈঠকেও কর্মসংস্থানের বিষয় উঠে এসেছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও উপস্থিত ছিলেন। অর্থনীতিবিদেরা কর্মসংস্থান তৈরির জন্য দেশে ‘গ্লোবাল ভ্যালু চেন’ তৈরি ও কৃষি উন্নয়নে আরও বরাদ্দের দাবি তুলেছেন। কয়েক জন অর্থনীতিবিদ বলেছেন, কৃষির উন্নয়নের জন্য অ-কৃষি ক্ষেত্রের দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি জরুরি।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের বক্তব্য, মোদী গত ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থেকে এবং বিজেপি ২২ বছর গুজরাত শাসন করার পরেও বেকারত্বের সমাধান হয়নি। এখন তিনি নতুন কী করবেন? বিজেপির মুখপাত্র সৈয়দ জাফর ইসলামের যুক্তি, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট অনুযায়ী গত বছর ৫ কোটি চাকরি তৈরি হয়েছে। মোদী সরকারের আমলে হয়েছে ১২ কোটি। কংগ্রেসের পাল্টা যুক্তি, ইন্ডিয়া রেটিংসের রিপোর্টই বলছে, নোট বাতিল, জিএসটি এবং অতিমারির ফলে ৬৩ লক্ষ অসংগঠিত ক্ষেত্রের সংস্থা বন্ধ হয়েছে। ১.৬ কোটি চাকরি খোয়া গিয়েছে। আর সিটিগ্রুপ বলেছে, এখন ৭% আর্থিক বৃদ্ধি হলেও যথেষ্ট চাকরি তৈরি হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy