বিদ্যুৎ উৎপাদনের সার্বিক খরচ কমানোর ভাবনা-চিন্তা করছে কেন্দ্র। তার ফলে গ্রাহকদের খরচও কমার সম্ভাবনা। প্রতীকী ছবি।
গ্রাহকের বিদ্যুৎ খরচ কমানোর লক্ষ্যে তা সরবরাহের কাঠামো সংস্কারের পথে এগোলো কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকের সংশোধনী প্রস্তাব অনুযায়ী, গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে বণ্টন সংস্থাগুলিকে আগে সস্তার বিদ্যুৎ জোগাবে উৎপাদন সংস্থা। যদিও বিদ্যুৎ কেনাবেচার ক্ষেত্রে যে পদ্ধতি রয়েছে, তার বদলে এই ধরনের পদক্ষেপ কতটা বাস্তবোচিত হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।
সরকারি সূত্রের খবর, বিদ্যুৎ উৎপাদনের সার্বিক খরচ কমানোর ভাবনা-চিন্তা করছে কেন্দ্র। তার ফলে গ্রাহকদের খরচও কমার সম্ভাবনা। প্রস্তাবিত সংশোধনে বলা হয়েছে, যে বিদ্যুতের খরচ সবচেয়ে কম, চাহিদা মেটাতে আগে তা জোগানো হবে বণ্টন সংস্থাকে। একাংশ বলছেন, বর্তমানে যে ব্যবস্থা চালু রয়েছে, তার সূচনা হয়েছিল ২০১৯ সালে। তাতে দেশ জুড়ে পরিবর্তনশীল খরচে প্রায় ২৩০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়। এ ভাবে উৎপাদন সংস্থা আখেরে গ্রাহকদেরই খরচ কমায়।
খরচ কমানোর ভাবনাকে স্বাগত জানালেও বিদ্যুৎ-বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, কাঠামো সংস্কারের নতুন পরিকল্পনা কার্যকরের ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হতে পরে। কারণ, বিদ্যুৎ জোগানোর জন্য প্রতিটি বণ্টন সংস্থার সঙ্গে এক বা একাধিক উৎপাদন সংস্থার দীর্ঘ কিংবা স্বল্পমেয়াদি চুক্তি (পাওয়ার পারচেজ় এগ্রিমেন্ট) থাকে। সস্তার বিদ্যুতের জোগান থাকলেও, সেই চুক্তি এড়িয়ে একেবারে প্রথমেই কী ভাবে কম দামের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা নিশ্চিত করা হবে তা স্পষ্ট নয় এখনও। সেই চুক্তির ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থাগুলি তাদের লগ্নি-পরিকল্পনা তৈরি করে। কাজেই নতুন কাঠামোয় জোগান পদ্ধতি যদি বদলায়, তা হলে সেই লগ্নিও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়তে পারে। এতে সংস্থা, ব্যাঙ্ক-সহ সার্বিক ভাবে আর্থিক ক্ষেত্রে ধাক্কা লাগার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে কেন্দ্র সব দিক খতিয়ে দেখেই এগোবে এবং ধোঁয়াশা কাটলে পুরোটা স্পষ্ট হবে বলে আশা তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy