—প্রতীকী চিত্র।
বাজারে আনাজ-সহ খাদ্যপণ্যের চড়া দামে ত্রস্ত ক্রেতা। নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব কিছুর খরচ বাড়ায় উৎসবের মরসুমেও দুশ্চিন্তা পিছু ছাড়েনি সাধারণ মানুষের। এই পরিস্থিতিতে বেড়ে যাওয়া আটার দামে রাশ টানতে উদ্যোগী হল মোদী সরকার। বাজার দরের থেকে সস্তায় আটা বিক্রির প্রকল্প আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু করল তারা। ২০০০টি দোকান এবং ৮০০টি চলমান ভ্যান থেকে তা বিক্রি করা হবে।
তবে সোমবার প্রকল্পের উদ্বোধনের পরেই উঠেছে প্রশ্ন, আদতে এতে কত জন উপকৃত হবেন? ব্যবসায়ী সংগঠনের একাংশ একে ‘হাস্যকর’ দাবি করে বলছেন, ১৪০ কোটি মানুষের দেশে সস্তায় আটা বিক্রির যে পরিকাঠামো ঠিক করা হয়েছে, তার পরিসর অত্যন্ত কম। মুষ্টিমেয় বিত্তবান বাদে যাঁরা চড়া মূল্যবৃদ্ধির জাঁতাকলে প্রতি নিয়ত পিষছেন, তাঁদের অতি অল্প সংখ্যকই তা কেনার সুযোগ পাবেন। পাঁচ রাজ্যের ভোটারদের দিকে তাকিয়েই নির্বাচনের ঠিক মুখে মোদী সরকারের এই পদক্ষেপ বলেও সমালোচনা করেছেন অনেকে।
কলকাতায় কেজিতে খুচরো আটা ৩৫-৩৬ টাকা। প্যাকেটের ৪৫-৪৬ টাকা। ‘ভারত আটা’ ব্র্যান্ড নামে কম দামের আটা বিক্রির প্রকল্প কিছু জায়গায় ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়েছিল। এ দিন তা আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু করল কেন্দ্র। কেজিতে দাম ২৭.৫০ টাকা। বিক্রির দায়িত্বে কেন্দ্রের সমবায় সংস্থা নাফেড, এনসিসিএফ, কেন্দ্রীয় ভান্ডার। খাদ্য ও ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী পীযূষ গয়াল জানান, সমবায়গুলিকে খাদ্য নিগম ২১ টাকা দরে ২.৫ লক্ষ টন গম দেবে। তারা আটা তৈরি করে নির্ধারিত দামে ২০০০টি বিক্রয় কেন্দ্র এবং ৮০০টি ভ্যান মারফত বেচবে। ওই সব কেন্দ্র থেকে সস্তার পেঁয়াজ এবং ছোলাও মিলবে। কেন্দ্রের দাবি, সারা দেশেই পাওয়া যাবে ওই আটা।
তবে মানুষের কাছে সস্তার আটা পৌঁছনোর দাবিকে ‘হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করেছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল ফোরাম অব ট্রেডার্স অর্গানাইজ়েশনের সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ কোলে। তিনি বলেন, “এই পরিকল্পনা অবাস্তব। অন্তত ৫০,০০০ ভ্যান ও কয়েক গুণ বেশি বিক্রয় কেন্দ্র চাই।’’ ফেডারেশন অব ট্রেডার্স অর্গানাইজ়েশনের বড়বাজার শাখার সাধারণ সম্পাদক তাপস মুখোপাধ্যায় বলেন, “খুচরো বাজার নিয়ে ধারণা নেই। দাম কেন বাড়ল তা খোঁজার উদ্যোগ নেই। মানুষকে ঠকানো হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy