স্টেট ব্যাঙ্ক। —ফাইল চিত্র।
স্টেট ব্যাঙ্কের থেকে ধার নেওয়া একটি সংস্থা নগদের অভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিল। ফলে ব্যাঙ্কের টাকা শোধ করতে পারেনি। সংবাদমাধ্যমের খবর, স্টেট ব্যাঙ্ক তাদের দেওয়া ওই ঋণ সংস্থার শেয়ারে বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই প্রশ্নের মুখে তারা। স্টেট ব্যাঙ্ক কেন এই সিদ্ধান্ত নিল, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে তা খতিয়ে দেখার দাবি করেছে কংগ্রেস। অভিযোগ, এর ফলে অন্য অনেক সংস্থা এ ভাবে ঋণ শোধ না করেও সংস্থাকে নিজেদের হাতে রাখার সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে।
স্টেট ব্যাঙ্ক-সহ আরও কিছু ব্যাঙ্ক যৌথ ভাবে ঋণ দিয়েছিল সুপ্রিম ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইন্ডিয়া (এসআইআইএল) নামে এক সংস্থাকে। ঋণ খেলাপি হয়ে সংস্থাটি দেউলিয়া আদালতে যায়। সুপ্রিমকে দেওয়া ঋণই স্টেট ব্যাঙ্ক সংস্থার শেয়ারে রূপান্তরিত করছে। এর ফলে তাদের ঋণ খেলাপি তকমা দূর হবে, স্টেট ব্যাঙ্ক তাদের আংশিক অংশীদার হবে এবং সংস্থার হাতবদলের আশঙ্কা থাকবে না। অভিযোগ, সুপ্রিমকে দেওয়া মোট ঋণের ৯৩.৪৫ শতাংশই ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাঙ্কগুলি।
মঙ্গলবার এক্স-এ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের দাবি, এই সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হল, তা খতিয়ে দেখার জন্য রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক পদক্ষেপ করুক। সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, এ ভাবে স্টেট ব্যাঙ্ক কাউকে কোনও সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে কি না, সেটা তদন্ত করে দেখার বার্তাই দিতে চেয়েছেন রমেশ। তিনি লিখেছেন, “একটি অসাধারণ পদক্ষেপ করে স্টেট ব্যাঙ্ক একটি দেউলিয়া সংস্থাকে দেওয়া ঋণ সেই সংস্থার শেয়ারে রূপান্তরিত করছে। এই ধরনের পদক্ষেপ কর্পোরেট ঋণ ব্যবস্থায় একটি বিপজ্জনক নজির। অনেক সংস্থাকেই ঋণ খেলাপি হয়ে সেই ঋণ শেয়ারে রূপান্তরিত করে সংস্থাটিকে নিজেদের দখলে রাখতে উদ্যোগী হতে উৎসাহিত করবে।’’
এর আগে ব্যাঙ্ক কর্মীদের সংগঠন এআইবিইএ অভিযোগ করেছিল, একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ১০টি সংস্থার বকেয়া ৬২ হাজার কোটি টাকা ঋণের বেশির ভাগটাই মকুব করে দিয়েছে। ফয়সালা হয়েছে, মাত্র ১৬ হাজার কোটি টাকা দেবে তারা। যে সব সংস্থাকে ওই ঋণ দেওয়া হয়েছিল সেগুলি হাতে নিয়েছে আদানি গোষ্ঠী। বাকি পড়া ধারের টাকা এ ভাবে কমিয়ে ব্যাঙ্কগুলি আদানিদের সুবিধা করে দিয়েছে বলে সে বারও আক্রমণ শানিয়েছিল বিরোধী শিবির। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এ বারও সংস্থাকে বকেয়া ঋণের ভারমুক্ত করতেই শোধ না হওয়া টাকা অংশীদারিতে রূপান্তরিত করা হল কি না, তেমন সন্দেহ মাথা তুলেছে। সেই কারণেই প্রশ্নের মুখে স্টেট ব্যাঙ্ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy