Advertisement
E-Paper

ফের হিন্ডেনবার্গের প্রশ্নের মুখে সেবি কর্ণধার মাধবী

হিন্ডেনবার্গের নতুন অভিযোগের জেরে সোমবার সকালে বিপুল পড়ে যায় আদানিদের সংস্থাগুলির শেয়ার দর। যা সামগ্রিক ভাবে বাজারকেও ধাক্কা দেয়। পরে অবশ্য আদানিদের শেয়ার দর ওঠে।

সেবি-র চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচ।

সেবি-র চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচ। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২৪ ০৮:৪৭
Share
Save

শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি-র চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচের বিরুদ্ধে আক্রমণ অব্যাহত রাখল হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ।

সোমবার আমেরিকার শেয়ার সংস্থাটির দাবি, যে বিদেশি তহবিল ঘুরপথে আদানিদের সংস্থাগুলির শেয়ার দরকে বেআইনি ভাবে বাড়িয়ে দিতে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ, তাতে লগ্নি থাকার কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন মাধবী ও তাঁর স্বামী ধবল বুচ। এ বার সেবি কর্ণধার স্পষ্ট করে বলুন, নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালনের সময়েই তিনি কী ভাবে নিজের উপদেষ্টা সংস্থা চালালেন। হিন্ডেনবার্গের অভিযোগ, ভারতে উপদেষ্টা আগোরা অ্যাডভাইজ়রি-র ব্যবসা রয়েছে তাঁর। সেই সংক্রান্ত তথ্যের ব্যাখ্যা জরুরি। সেবির মতো নিয়ন্ত্রকের শীর্ষ পদাধিকারীর সংস্থা কাদের পরামর্শ দিয়েছে, তা জানা প্রয়োজন। এখানেও সেই স্বার্থের সংঘাতের ইঙ্গিতই দিয়েছে তারা।

হিন্ডেনবার্গের নতুন অভিযোগের জেরে সোমবার সকালে বিপুল পড়ে যায় আদানিদের সংস্থাগুলির শেয়ার দর। যা সামগ্রিক ভাবে বাজারকেও ধাক্কা দেয়। পরে অবশ্য আদানিদের শেয়ার দর ওঠে। তবে আদানি গোষ্ঠীর নথিভুক্ত ১০টি সংস্থার মধ্যে ৮টিরই দাম পড়েছে। সব মিলিয়ে মুছেছে তাদের ২২,০৬৪ কোটি টাকা।

রবিবার বুচ দম্পতির দাবি ছিল, বিদেশি তহবিলে লগ্নি মাধবী সেবি-তে যোগ দেওয়ার আগে করা। সেটি বন্ধও করা হয়েছে স্বার্থের সংঘাতের আগেই। পাশাপাশি, অভিযোগের মুখে থাকা দুই উপদেষ্টা সংস্থায় মাধবী তাঁর অংশীদারি ধবলের হাতে তুলে দিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন। অর্থাৎ, তাঁদের দাবি হিন্ডেনবার্গের আনা সাম্প্রতিক অভিযোগ ‘একেবারে ভিত্তিহীন’ এবং তাঁর চরিত্রহননের জন্যই করা। আদানি গোষ্ঠীরও দাবি, বুচ দম্পতির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক নেই। সেবি-র বক্তব্য, সময়ে সব তথ্যই জানান মাধবী। আদানিদের বিরুদ্ধে একটি ছাড়া সবক’টি তদন্তই শেষ।

আজ এক্স-এ হিন্ডেনবার্গের পাল্টা দাবি, ‘‘বুচ দম্পতির বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে বারমুডা এবং মরিশাসে অস্বচ্ছ তহবিলে লগ্নি ছিল তাঁদের। সেখানে রাখা ছিল বিনোদ আদানির সরানো টাকাও। মাধবী স্পষ্ট করেছেন, ওই তহবিল পরিচালনা করতেন তাঁর স্বামীর বাল্যবন্ধু, যিনি আদানিদের ডিরেক্টর ছিলেন।’’ সঙ্গে তাদের তোপ, ‘‘আদানিদের সঙ্গে জড়িত তহবিলের তদন্তের দায়িত্ব ছিল সেবি-র উপরে। তার মধ্যে ছিল বুচ দম্পতির ‘ব্যক্তিগত লগ্নি’ এবং আমাদের আসল রিপোর্টে উল্লিখিত ব্যক্তির টাকাও। বিষয়টি স্বার্থের সংঘাতকেই তুলে ধরে।’’

এর পরেই মাধবীকে নিজের ভারতীয় পরামর্শদাতা সংস্থা আগোরা অ্যাডভাইজ়রি ও সিঙ্গাপুরের সংস্থা আগোরা পার্টনার্স সিঙ্গাপুরে অংশীদারি স্পষ্ট করতে বলেছে হিন্ডেনবার্গ। বলেছে, ২০১৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত সেবি-র পূর্ণ সদস্য থাকার সময়েও সিঙ্গাপুরের সংস্থার ১০০% ছিল মাধবীর হাতে। মাধবীর যুক্তি, দুই সংস্থায় তাঁর শেয়ার ধবলকে দিয়েছিলেন। কিন্তু গত ৩১ মার্চের তথ্যে স্পষ্ট আগোরা অ্যাডভাইজ়রিতে (ইন্ডিয়া) তাঁর ৯৯% শেয়ার রয়েছে, তাঁর স্বামীর নয়। সংস্থাটি এখনও উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করে। এমনকি মাধবী যখন সেবি কর্ণধার হন, তার পরে ২০২১-২২, ২০২২-২৩ ও ২০২৩- ২৪ সালে সংস্থাটির আয় প্রায় ২.৪ কোটি টাকা। তবে সিঙ্গাপুরের সংস্থার তথ্য পাওয়া অসম্ভব।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Sebi Madhabi Puri Buch Gautam Adani Adani Group Hindenburg Report

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}