প্রতীকী ছবি
কেন্দ্রের ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজের পরেও ক্ষুব্ধ শিল্পের বড় অংশ। তাঁদের মতে, এতে বাজারে চাহিদা বাড়বে না। কারণ মানুষের হাতে খরচ করার টাকা আসেনি। সর্বোপরি বিমান, গাড়ি, পর্যটন, হোটেল-রেস্তরাঁর মতো মৃতপ্রায় ক্ষেত্রগুলির জন্য কিচ্ছু নেই। এই ক্ষোভ টের পেয়ে আজ অর্থ মন্ত্রকের শীর্ষ সূত্র যুক্তি দিয়েছে, ছোট-মাঝারি শিল্প ঋণ পেলে কাজ শুরু করবে। কাঁচামাল কিনবে। কর্মীদের বেতন দেবে। আর তার ফলেও চাহিদা বাড়বে।
কিরণ মজুমদার শ’-এর মতো শিল্পের অনেকেই মুখ খুলেছেন। ব্যবসায়ীদের জন্য কিছু দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের সংগঠন সিএআইটি-রও। অর্থনীতিবিদদের মতে, ব্যাঙ্ক ঋণ না দিয়ে, সরকারি খরচ বাড়িয়ে সরাসরি গরিব-পরিযায়ী শ্রমিক, মধ্যবিত্তের হাতে টাকা তুলে দেওয়া উচিত ছিল। আর প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের যুক্তি, “পুরো ভুল। ছোট-মাঝারি শিল্পকে ঋণ দিলে তারা জোগান বাড়াবে। কিন্তু চাহিদা থাকতে হবে তো! সরকারি খরচ বাড়ালে চাহিদা বাড়ে।” তাঁর দাবি, এই প্যাকেজে সরকারের খরচ মাত্র ১.৮৬ লক্ষ কোটি। জিডিপি-র ০.৯১%।
কেন পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে টাকা দেওয়া হল না? অর্থ মন্ত্রক সূত্রে খবর, শহর থেকে গ্রামের পথ ধরা ওই শ্রমিকদের চিহ্নিত করে টাকা দেওয়া কঠিন। তাই সেই ভাবনা থেকে সরে এসে মনরেগা-র ১০০ দিনের কাজে বরাদ্দ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। আজ কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী ফের মনে করিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসে নরেন্দ্র মোদী মনরেগা-কে কংগ্রেসের ব্যর্থতার স্মারক বলেছিলেন।
ধুঁকতে থাকা শিল্পগুলির জন্য আলাদা সুরাহা না-থাকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন চিদম্বরম। বলেছেন, ‘‘তৃতীয় দফার ঘোষণার আগেই আমাকে শিল্পপতিরা ফোন করে বলেছেন, তাঁদের জন্য কিছু নেই। কেন্দ্র মনে করছে, বড় শিল্প নিজেই পায়ের তলায় জমি খুঁজে নেবে। কিন্তু বিমান শিল্প সাহায্য ছাড়া চলতেই পারবে না। গাড়ি শিল্প খোঁড়াবে। পর্যটন, হোটেল শিল্প তো মৃতপ্রায়।” অর্থ মন্ত্রকের পাল্টা যুক্তি, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নগদের জোগান যাতে ব্যাঙ্কের ঋণ হিসেবে সব সংস্থার কাছে পৌঁছয়, তা অর্থমন্ত্রী প্রতি সপ্তাহে পর্যালোচনা করবেন।
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত ৬ কর্মী, গ্রেটার নয়ডায় কারখানা বন্ধ করল ওপো
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy