ধান, গম-সহ অন্যান্য খাদ্য-শস্য ভরার জন্য চাহিদা মতো চটের বস্তা না পেয়ে আতান্তরে পড়েছে পঞ্জাব ও তেলেঙ্গানা। দুই রাজ্যেই চলতি মরসুমে ফলন হয়েছে প্রত্যাশা মতো। কিন্তু ফসল ভরে রাখতে যে পরিমাণ চটের বস্তা প্রয়োজন, তা পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্য রাজ্যের অধিকাংশ চটকলই সরবরাহ করতে পারছে না। অনেক চটকল একটি বস্তাও দিতে পারেনি বলে অভিযোগ পঞ্জাবের। এই অবস্থায় দুই রাজ্যই জুট কমিশনারের দ্বারস্থ হয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে। সরবরাহের অবস্থা বুঝতে আজ, সোমবার জুট কমিশনার-সহ চটকল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করতে রাজ্যে আসছেন পঞ্জাবের খাদ্যমন্ত্রী ভারতভূষণ আশু।
যা খবর, ডিসেম্বরে পঞ্জাব ও তেলেঙ্গানা তাদের চাহিদা মতো পুরো বস্তা পায়নি। এ দিকে জানুয়ারিতে ফের অধিকাংশ কৃষি প্রধান রাজ্যেরই বস্তা লাগবে। ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলি চাহিদার কথা জানিয়েছে। মার্চের মধ্যে তাদের আরও ২ লক্ষ বেল বাড়তি চটের বস্তা দিতে হবে বলে ধারণা। এই অবস্থায় সরবরাহের যা হাল, তাতে সময়ে বস্তা পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়েই কার্যত প্রশ্ন তুলছে পঞ্জাব। এ দিকে বস্তার অভাবে চাষিদের ঘরে গম জমে থাকছে। সূত্রের খবর, বস্তায় ভরা যাচ্ছে না বলে তাঁদের ফসলের দাম দেওয়া যাচ্ছে না এবং তা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।
সমস্যার কথা জানতে পেরে কিছু দিন আগেই দ্রুত উৎপাদন বাড়িয়ে বস্তা সরবরাহ বাড়াতে ইন্ডিয়ান জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি দেয় কমিশনারের অফিস। সংগঠনের চেয়ারম্যান রাঘব গুপ্তের দাবি, চটকলগুলির উৎপাদন ক্ষমতার তুলনায় বরাত বেশি আসছে বলেই ঘাটতি থাকছে।
সম্প্রতি পঞ্জাবের খাদ্য দফতরের সচিব বস্তার জোগান নিয়ে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। তেলেঙ্গানাও জোগান বাড়াতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছে। তাদের দাবি, চাষিদের থেকে পুরোদমে খাদ্য-শস্য কেনা শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চাহিদা মতো চটের বস্তা প্রয়োজন। দুই সরকারই পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্য রাজ্যের চটকলগুলির নাম-সহ কার থেকে কত বস্তা পাওনা বাকি, সেই তথ্য কমিশনারকে চিঠিতে জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy