—প্রতীকী চিত্র।
অক্টোবরে আরও কমল পাইকারি বাজারে জিনিসপত্রের দাম। মঙ্গলবার সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গত মাসে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে শূন্যের ০.৫২% নীচে। এ নিয়ে টানা সাত মাস তা শূন্যের নীচেই থাকল। সেপ্টেম্বরে সেই হার ছিল (-) ০.২৬%। আর গত বছর অক্টোবরে ৮.৬৭%।
মূলত রাসায়নিক এবং রাসায়নিক পণ্য, বিদ্যুৎ, বস্ত্র, ধাতুর, খাদ্যের মতো বিভিন্ন পণ্যের দাম কমার কারণেই পাইকারি বাজার দর কমেছে বলে জানাচ্ছে সরকারি পরিসংখ্যান। এর মধ্যে খাদ্যপণ্যের দর বৃদ্ধির হার ৩.৩৫% থেকে কমে হয়েছে ২.৫৩%। সরাসরি দাম কমেছে আনাজ (২১.০৪%) এবং আলুরও (২৯.২৭%)। একই ছবি দেখা গিয়েছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ (২.৪৭%), তৈরি পণ্যের ক্ষেত্রে (১.১৩%)।
ভারতে বার্কলেজ় কর্তা রাহুল বাজোরিয়া, ইক্রার মুখ্য অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ারের মতো বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হারে গতি আসা, চাহিদা বাড়ার হাত ধরে মূল্যবৃদ্ধির চাপ বাড়তে পারে। তবে আগামী দিনেও খুচরো এবং পাইকারি বাজারে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকবে মূল্যবৃদ্ধির হার। পাইকারির ক্ষেত্রে অর্থবর্ষের বাকি সময়ে গড়ে তা থাকতে পারে ৩ শতাংশের নীচে। নভেম্বরের ক্ষেত্রে খাদ্যপণ্যের দাম মাথা তোলার জেরে তা হতে পারে ০.১%।
সোমবার কেন্দ্রের পরিসংখ্যান মন্ত্রক জানিয়েছে, খুচরো মূল্যবৃদ্ধি গত মাসে দাঁড়িয়েছে ৪.৮৭%। চার মাসের মধ্যে যা সব চেয়ে কম। সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ বলছে, পাইকারি বাজারে দাম কমলেও, খুচরো বাজারে এখনও সে ভাবে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। বরং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দরে নাজেহাল হচ্ছেন মানুষ।
যদিও অন্য অংশ মনে করাচ্ছে, খুচরো মূল্যসূচকে খাদ্যপণ্যের ভাগ (ওয়েটেজ) বেশি। তার উপরে খুচরো বাজারে ক্রেতার প্রেক্ষিতে দামের ওঠাপড়া অনুসরণ করা হয়। তাই বাজারে খাবারের দাম বেশি হলে তা কিনতে বেশি টাকা যায়, ফলে মূল্যবৃদ্ধির হারও অনেকটা চড়ে যায়। সেই তুলনায় পাইকারিতে সিংহভাগ জুড়ে কারখানায় তৈরি সামগ্রী। তা উৎপাদকের দিক দিয়ে দাম অনুসরণ করে। ফলে সেখানে দাম কমলে তা মূল্যবৃদ্ধিকে টেনে নামায়। যে কারণে পাইকারি বাজারে দাম কমলেও, চট করে তার প্রতিফল খুচরো বাজারে দেখা যায় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy