প্রতীকী ছবি।
বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল ব্যারেল পিছু ১০০ ডলারের নীচে নেমেছে বেশ কিছু দিন আগেই। চিনে কোভিড-নীতি বিরোধী বিক্ষোভের জেরে তা আরও পড়ল। চাহিদা আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কায় প্রায় ১১ মাসের তলানিতে নেমে সোমবার ব্রেন্ট ক্রুড হল ৮১.৪৬ ডলার। আর এক ধরনের অশোধিত তেল ডব্লিউটিআই নামল ৭৪.৫১ ডলারে। তার পরেই দেশ জুড়ে প্রশ্ন, এ বার কি পেট্রল-ডিজ়েল কিছুটা অন্তত সস্তা হবে ভারতে?
প্রায় সাত মাস ধরে দেশে তেলের দর স্থির। কলকাতায় আইওসি-র পাম্পে পেট্রলের লিটার ১০৬.০৩ টাকা, ডিজ়েল ৯২.৭৬ টাকা। বিশ্ব বাজারে দুর্বল চাহিদার জেরে সস্তা হওয়া জ্বালানি দেশে রান্নার গ্যাসের দামেও ছাপ ফেলেনি। কলকাতায় এখনও একটি সিলিন্ডার কিনতে গৃহস্থকে গুনতে হচ্ছে ১০৭৯ টাকা।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরেই চড়েছিল অশোধিত তেলের দাম। একটা সময় ব্রেন্ট ১৩৯ ডলার পেরোয়। এর আগে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির যুক্তি ছিল, চড়া দামে আমদানি করা তেল দেশে দাম না বাড়িয়ে বেচতে হয়েছে তাদের। যাতে মূল্যবৃদ্ধি আরও না চড়ে। সেই ক্ষতি না পুষিয়ে জ্বালানির দাম কমানো যাবে না। একই কথা বলে সরকারও। তবে বিরোধীরা বার বারই প্রশ্ন তুলছেন, চড়া জ্বালানির কারণে মাথা তোলা মূল্যবৃদ্ধি সব থেকে বেশি ধাক্কা দিয়েছে সাধারণ এবং স্বল্প রোজগেরে মানুষকে। তাই বিশ্ব বাজারে তেল-গ্যাসের দাম কমার সুবিধা তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে না কেন? বিশেষত আন্তর্জাতিক দাম বাড়লে এতদিন যেহেতু গ্রাহকদের ঘাড়ে বোঝা চাপতে সময় লাগেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy