প্রতীকী ছবি
লকডাউনের মেয়াদ বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে অর্থনীতির ক্ষতির বহর। আর নিত্যনতুন সমীক্ষায় চড়ছে আশঙ্কার পারদও। রবিবার আন্তর্জাতিক পরামর্শদাতা সংস্থা আর্থার ডি লিটলের সমীক্ষাতেই যেমন ফুটে উঠেছে করোনার ধাক্কায় ভারতের বেকারত্ব ও দারিদ্রের মাথাচাড়া দেওয়ার ভয়ঙ্কর ছবি। যার জেরে প্রায় ১০.৮% কমতে পারে অর্থনীতির বহর। এটাই এ যাবৎ জি়ডিপি-র সবচেয়ে খারাপ পূর্বাভাস। একই দিনে ভোগ্যপণ্য শিল্প মহলের আশঙ্কা, পরিযায়ী শ্রমিকেরা কাজে না-ফিরলে পণ্য উৎপাদন এবং সরবরাহ ব্যবস্থা ভয়ানক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আর্থার ডি লিটলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, অর্থনীতি কার্যত থমকে যাওয়ায় দেশে কাজ হারাতে পারেন প্রায় ১৩ কোটি মানুষ। বেকারত্বের হার ছুঁতে পারে ৩৫%। করোনা হানার আগে যা ছিল ৭.৬%। আর দারিদ্রের বৃত্তে ঢুকে পড়তে পারেন নতুন ১২ কোটি জন। এঁদের মধ্যে চার কোটি চরম দারিদ্রে। যাঁদের কাজ আছে, তাঁদের একাংশেরও আয় কমবে।
রিপোর্টে দাবি, এই বেকারত্ব ও দারিদ্রের বিরূপ প্রভাব পড়বে পণ্যের চাহিদায়। ধাক্কা খাবে জিডিপি। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে যা সরাসরি সঙ্কুচিত হতে পারে ১০.৮%। পরের অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার হতে পারে ০.৮%।
কেন্দ্র এক সময় বারবার ভারতের অর্থনীতিকে পাঁচ বছরে ৫ লক্ষ কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়ার কথা বলত। করোনার আবহে যে কথা ভুলেও মুখে আনছেন না কেউ। তবে এই রিপোর্টে সে জন্য ১০ দফা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেখানে সব থেকে গুরুত্ব পেয়েছে ত্রাণ ও কাঠামোগত সংস্কার।
এ দিকে, ভোগ্যপণ্য শিল্পের ভয় পরিযায়ী শ্রমিকেরা ঘরে ফেরায় দক্ষ কর্মী পেতে সমস্যা হবে। সংস্থাগুলি তো বিপদে পড়বেই, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করাও শক্ত হবে। গোদরেজ কনজিউমার প্রোডাক্টসের কর্তা বিবেক গম্ভীরের বক্তব্য, ওই শ্রমিকেরা যাতে ফের নিরাপদে কর্মস্থলে ফিরতে পারেন সে জন্য কেন্দ্রকেই উদ্যোগী হতে হবে। প্রয়োজনে দিতে হবে উৎসাহভাতা।
আরও পড়ুন: নতুন কী, প্রশ্ন তুলল বিদ্যুৎ নিয়ে ঘোষণা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy