— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পাসপোর্ট এবং আধার কার্ড তৈরির মতো পরিষেবা দেওয়ার রাস্তায় আগেই হেঁটেছে ডাকঘর। গত বছরের মে মাসে শুরু করেছে পণ্যের রফতানি। সূত্রের খবর, ব্যবসা বাড়াতে তাদের লক্ষ্য এখন দেশের অন্যতম রফতানি কেন্দ্র হয়ে ওঠা। বিশেষত সেই সব ছোট, প্রান্তিক এবং গ্রামীণ উদ্যোগপতিদের জন্য, যাঁরা নিজেদের তৈরি পণ্য বিদেশের বাজারে পাঠাতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন। সূত্র বলছে, ১৬ মাসে পশ্চিমবঙ্গ সার্কলে এই নিয়ে ভাল সাড়া মিলেছে। বর্তমানে সারা রাজ্যে ৩৪টি ডাকঘর রফতানি কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে। নাম ‘ডাকঘর নিরায়ত কেন্দ্র’।
ডাক বিভাগ সূত্রে দাবি, গত অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গ সার্কেল থেকে ১.৮৪ কোটি টাকা মূল্যের ২৯৮৭টি পণ্য রফতানি হয়েছিল। ডাক বিভাগের আয় হয় ৩৭.৭৭ লক্ষ। এ বার শুধু এপ্রিল-জুনেই রফতানি হয়েছে ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যের ১০৭০টি সামগ্রী। আয় হয়েছে ১২.৬৪ লক্ষ টাকা। ফলে বছরের শেষে এই অঙ্ক অনেকখানি বাড়বে বলেই আশা।
রাজ্য থেকে দার্জিলিঙের চা, জলপাইগুড়ির আখের ছিবড়ের শৌখিন পণ্য, পুরুলিয়ার ছৌ মুখোশ এবং গালার গয়না, কোচবিহারের শীতলপাটি, শান্তিনিকেতনে তৈরি বিবিধ পণ্য ইত্যাদি ডাকঘর মারফত বিদেশে যায়। এই সার্কলের চিফ পোস্টমাস্টার জেনারেল নীরজ কুমার বলেন, ‘‘এখানে পণ্য নিয়ে এলে জিএসটি সার্টিফিকেট, ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট কোড, ডিলার কোড, লেটার অব আন্ডারটেকিং-এর মতো সব কিছু এক জায়গায় মেলে। ফলে রফতানি অনেক সহজ হয়ে যায়।’’ এখন যদিও এখান থেকে ডাক বিভাগের আয় খুব কম। কিন্তু নীরজের দাবি, ভবিষ্যতে ব্যবসা বৃদ্ধির ইঙ্গিত স্পষ্ট। ডাকঘরগুলি দেশের অন্যতম রফতানি কেন্দ্র হওয়ার তকমা অর্জন করতে পারবে বলেই আশাবাদী তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy