Advertisement
E-Paper

আলুর মজুত কমাতে সীমানা খোলার আর্জি

অবিলম্বে সীমানা না খুললে পরের বছর নতুন আলু ঢুকতে সমস্যা হবে। চাষিদের ক্ষতি হবে। দামও আরও বাড়তে পারে।

ব্যবসায়ীদের একাংশের অভিযোগ, দাম চড়িয়ে রাখতেই হিমঘর মালিকেরা কম আলু ছাড়ছেন।

ব্যবসায়ীদের একাংশের অভিযোগ, দাম চড়িয়ে রাখতেই হিমঘর মালিকেরা কম আলু ছাড়ছেন। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:৪৯
Share
Save

রাজ্যের হিমঘরগুলিতে এত আলু মজুত যে, তা কৃষক এবং বাজারের পক্ষে আশঙ্কাজনক, দাবি পশ্চিমবঙ্গ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের। সংগঠনের সহ-সভাপতি শুভজিৎ সাহা মঙ্গলবার জানান, মোট ৪৭৫টি হিমঘরে ৪.১ লক্ষ টন আলু রয়েছে। অর্ধেকই অন্য রাজ্যে ব্যবহারের। কিন্তু ২৮ নভেম্বর থেকে রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী বাইরের রাজ্যে তা পাঠানো বন্ধ। অবিলম্বে সীমানা না খুললে পরের বছর নতুন আলু ঢুকতে সমস্যা হবে। চাষিদের ক্ষতি হবে। দামও আরও বাড়তে পারে।

শুভজিতের দাবি, অন্য রাজ্যে যেতে দেওয়ার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে ব্যবহারের জন্য রাখা আলু কিনুক সরকার। তাতে বাজারে দাম কমবে। হিমঘরের মজুতও ফুরোবে। তবে ব্যবসায়ীদের একাংশের অভিযোগ, দাম চড়িয়ে রাখতেই হিমঘর মালিকেরা কম আলু ছাড়ছেন। অভিযোগ উড়িয়ে শুভজিতের জবাব, ‘‘এখন হিমঘরের গেটে আলুর কেজি ২৫-২৭ টাকা। অথচ বাজারে ৩৫-৪০ টাকা। কেন, তা জানা নেই।’’

সংগঠনের বার্তা, ডিসেম্বরে ৬.১ লক্ষ টন মজুতের মধ্যে ২ লক্ষ বেরিয়েছে। শীতের আনাজ ওঠায় বাদবাকির অর্ধেকও ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বেরোবে না। অথচ সরকারি নির্দেশ, ওই দিনের মধ্যেই হিমঘরগুলিতে আলুর মজুত ফুরোতে হবে। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে সেগুলি রক্ষণাবেক্ষণের পরে মার্চে ঢুকবে নতুন আলু। ফলে ডিসেম্বরে মজুত শূন্য না হলে প্রক্রিয়াটা থমকে যাবে। রাজ্য সেই মেয়াদে বাড়ালে নতুন আলুর জন্য সময়ে হিমঘর প্রস্তুত হবে না। এতে চাষিদের ক্ষতি হতে পারে। আলুর দাম বাড়তে পারে বাজারে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Potato Border Stock

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}