—প্রতীকী ছবি।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গুঁতোয় অনলাইন ক্রেতাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত! এআইকে নিজেদের সমস্যা বোঝাতে একরকম নাকের জলে চোখের জলে হচ্ছেন তাঁরা। কৃত্রিম মেধা পরিচালিত সমীক্ষায় এ বার প্রকাশ্যে এল তেমনই চা়ঞ্চল্যকর তথ্য। রিপোর্ট দেখে কপালে ভাঁজ পড়েছে ই-কমার্স সংস্থাগুলির।
সম্প্রতি গ্রাহক পরিষেবা প্রদানকারী বেঙ্গালুরুভিত্তিক এআই প্ল্যাটফর্ম ‘ক্যাপচার সিএক্স’-এর তরফে ওই সমীক্ষা করা হয়। এর রিপোর্ট ‘লিঙ্কডইন’-এ প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। সেখানে বলা হয়েছে, ৪৩ শতাংশ অনলাইন ক্রেতা এই চ্যাটবটের উপর বেজায় অসন্তুষ্ট। এআই টুলের মাধ্যমে প্রাথমিক অভিযোগ জানাতেই ব্যর্থ হয়েছেন তাঁরা।
খরচ কমাতে ই-কমার্স সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই মানবশক্তির বদলে এআই ব্যবহার শুরু করে দিয়েছে। আর সেখানেই ক্রেতারা বিপাকে পড়ছেন বলে সমীক্ষায় স্পষ্ট করা হয়েছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, কোনও জটিল সমস্যা তৈরি হলে তা বুঝতেই পারে না চ্যাটবট। উল্টে এআইয়ের থেকে আসা অপ্রয়োজনীয় ও বিরক্তিকর প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের।
ক্যাপচার সিএক্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিশাল গর্গ বলেছেন, ‘‘সাধারণ কাজের ক্ষেত্রে চ্যাটবটগুলি দুর্দান্ত। কিন্তু অনলাইন ক্রেতারা অনেক বেশি আশা করে থাকেন। সেই জায়গায় এআই প্ল্যাটফর্মের এখনও বেশ কিছু খামতি রয়েছে।’’
বিশাল আরও জানিয়েছেন, ক্রেতারা সুক্ষ্ম কথোপকথনের সময়ে চ্যাটবটের থেকে প্রয়োজনীয়, বা বলা ভাল যুৎসই জবাব না পেয়ে হতাশ হয়েছেন। তাই হাইব্রিড মডেল অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ‘‘যে সমস্যাগুলি এআই বুঝতে পারছে না, সেগুলি মানবশক্তির সাহায্যে সমাধান করতে হবে। ছোট খাটো ব্যাপারগুলিতে চ্যাটবট ব্যবহার করায় কোনও অসুবিধা নেই।’’ প্রথম প্রতিক্রিয়ায় এমনটাই বলেছেন তিনি।
এই সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, দেরিতে পণ্য ডেলিভারি হওয়া নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ অনলাইন ক্রেতাদের ২৮ শতাংশ। আর্থিক সমস্যার ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ গ্রাহকই কোনও সমাধান পাননি। অর্ডার ট্র্যাকিংয়ে অসুবিধার কথা বলেছেন ন’শতাংশ ক্রেতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy