Advertisement
২১ ডিসেম্বর ২০২৪
Gig Workers

‘গিগ’ কর্মী নিয়ে উদ্বেগ, স্থায়িত্বের বার্তা সমীক্ষায়

বিভিন্ন দেশে অনেকেই পড়াশোনা বা কাজের ফাঁকেও সংক্ষিপ্ত কাজের সুযোগ নিতে চান। তবে আইআইএম-কলকাতার অর্থনীতির অধ্যাপক পার্থপ্রতিম পালের মতে, কাজের পাশাপাশি কাজের মানও গুরুত্বপূর্ণ।

An image of Freelancing

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২৩ ০৯:০৩
Share: Save:

বিভিন্ন ক্ষেত্রে চুক্তির ভিত্তিতে অস্থায়ী (গিগ) কর্মী নিয়োগের প্রবণতা যেমন বাড়ছে, তেমনই বাড়ছে এ ধরনের কাজে অনিশ্চয়তাও। মূলত অফিসে কর্মরত (হোয়াইট কলার) এমন কর্মীদের একাংশকে নিয়ে করা এক সমীক্ষায় তাঁদের উদ্বেগের দিকটি স্পষ্ট হয়েছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে কম বেতনের কাজে যুক্ত অন্য গিগ কর্মীদের অবস্থা নিয়ে। ভারত-সহ উন্নয়নশীল দেশগুলিতে এ ক্ষেত্রে সতর্কতা ও সুরক্ষা বৃদ্ধির পরামর্শ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ।

৪০০টি সংস্থার প্রায় ১২০০ গিগ কর্মীকে নিয়ে সমীক্ষাটি করেছে বেসরকারি নিয়োগ সংস্থা সিয়েল এইচআর। তাতে ইঙ্গিত, এই পদ্ধতিতে পেশায় যুক্ত হয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের দিকটি কর্মপ্রার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয় হচ্ছে। তবে ৪১% পুরুষ ও ৪০% মহিলা এতে আগ্রহী হলেও, ৩২ শতাংশের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কাজের অনিশ্চয়তা। এই প্রসঙ্গে অর্ধেকেরও বেশি কাজের স্থায়িত্বেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সংস্থাটির এমডি-সিইও আদিত্য নারায়ণ মিশ্র বলেন, ‘‘কম খরচ, কাজের উন্নতি, বিশেষ দক্ষতাকে কাজে লাগানো— এমন সব সুবিধার জন্য সংস্থাগুলির কাছে এই ব্যবস্থা ক্রমশ আকর্ষণীয় হলেও গিগ কর্মীরা এখন স্থায়িত্বের উপরে জোর দিচ্ছেন বেশি।’’

বিভিন্ন দেশে অনেকেই পড়াশোনা বা কাজের ফাঁকেও এমন সংক্ষিপ্ত কাজের সুযোগ নিতে চান। তবে আইআইএম-কলকাতার অর্থনীতির অধ্যাপক পার্থপ্রতিম পালের মতে, কাজের পাশাপাশি কাজের মানও গুরুত্বপূর্ণ। উন্নত দুনিয়ার সঙ্গে উন্নয়নশীল দেশ, এমনকি ভারতেও এ ধরনের কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের উচিত কিছু নিয়মকানুন বেঁধে দেওয়া। কারণ, নিয়োগের ক্ষেত্রে সংস্থার সঙ্গে কর্মীদের দর কষাকষির ক্ষমতা থাকা জরুরি। তাঁর কথায়, ‘‘উন্নত দেশে সামাজিক সুরক্ষা অনেক বেশি। ফলে কোনও গিগ কর্মী কাজের শর্তে খুশি না হলে তিনি তা প্রত্যাখ্যানও করতে পারেন। আবার উপদেষ্টা বা পেশাদারেরা এক অর্থে গিগ কর্মী হলেও তাঁদের আয় অনেক বেশি। কিন্তু ভারত বা কোনও উন্নয়নশীল দেশে অদক্ষ ও নীচের স্তরের কর্মীদের সেই দর কষাকষির ক্ষমতা সীমিত। ফলে স্বল্প সময়েও তাঁদের কাজের নিশ্চয়তা কম। তাই উদ্বেগ স্বাভাবিক।’’

এ ক্ষেত্রে স্টার্ট-আপ, ছোট সংস্থা বা অনলাইন ভিত্তিক সংস্থায় গিগ কর্মী হিসেবে কাজের অনিশ্চয়তার দিকটিতে জোর দিয়েছেন পার্থবাবু। তাঁর বক্তব্য, ব্যবসায়িক পরিকল্পনার ভুলে সংস্থাগুলি সঙ্কটে পড়লে কর্মীদের উপরে কোপ পড়ে। সংস্থাগুলিকে গিগ ব্যবস্থার সুবিধা নেওয়া এবং স্থায়িত্বের ভারসাম্য নিশ্চিত করার ব্যাপারে জোর দিয়েছেন আদিত্যও।

অন্য বিষয়গুলি:

Online Work from home
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy