প্রতীকী ছবি।
অর্থমন্ত্রী হিসেবে জিএসটি পরিষদের প্রথম বৈঠক। শুক্রবার তার শুরুতেই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছিলেন, জিএসটি-ব্যবস্থা সরল করতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে তার হার কমাতে হবে। যেমন শিল্পের তরফে প্রস্তাব ছিল, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে গাড়ি ও সিমেন্টে জিএসটির হার ২৮% থেকে কমানোর। কিন্তু কেন্দ্র ও রাজ্য দু’পক্ষেরই রাজকোষে আয় কমে যাওয়ার আশঙ্কায় কোনও ক্ষেত্রেই জিএসটির হার কমল না। তার বদলে শুধু জিএসটি ব্যবস্থায় কর ফাঁকি রুখতে এ দিন এক গুচ্ছ ব্যবস্থা নিল জিএসটি পরিষদ। যেমন, মাল্টিপ্লেক্সে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ই-টিকিট।
করের বোঝা কমা সত্ত্বেও যে সব সংস্থা পণ্যের দাম না কমিয়ে অনৈতিক ভাবে মুনাফা করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জাতীয় মুনাফাখোর বিরোধী কর্তৃপক্ষের (ন্যাশনাল অ্যান্টি প্রফিটিয়ারিং অথরিটি) মেয়াদ দু’বছর (২০২১ পর্যন্ত) বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এত দিন জিএসটি ছাঁটাইয়ের পরেও দাম না কমালে, সর্বাধিক ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার ব্যবস্থা ছিল। এ বার মুনাফার অঙ্কের ১০% পর্যন্ত জরিমানা করা হবে।
রাজস্ব সচিব অজয় ভূষণ পাণ্ডে বলেন, জিএসটি পরিষদের বৈঠকে ভুয়ো বিল তৈরি ঠেকাতে আলোচনা হয়েছে। এ জন্য ই-বিল তৈরির পাইলট প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রস্তাব হল, যে সব সংস্থার ব্যবসা বছরে ৫০ কোটি টাকার বেশি, তারা অন্য সংস্থার সঙ্গে লেনদেন করলে সরকারি পোর্টালে ইলেকট্রনিক ইনভয়েস তৈরি করতে হবে।
লটারির ক্ষেত্রে দেশে এক রকম কর বসানো নিয়ে কেন্দ্র ও কিছু রাজ্যের মধ্যে মতভেদ ছিল। তা নিয়ে তর্কাতর্কির পরে ঠিক হয়, অ্যাটর্নি জেনারেলের মত জানতে চাওয়া হবে।
জল্পনা সত্ত্বেও গাড়িতে কর এ দিন কমেনি। সেই সঙ্গে বৈদ্যুতিক গাড়িতে জিএসটি ১২% থেকে কমিয়ে ৫% ও চার্জারে তা ১৮% থেকে কমিয়ে ১২% করার প্রস্তাব ছিল। তা সচিবদের কমিটিতে পাঠানো হয়। তবে যেহেতু বিদ্যুৎচালিত গাড়ি তৈরির সংখ্যা কম, তাই আশা রাজস্ব আয় খুব কমবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy