বাজেটের আগে রাজস্ব দফতরের অফিসাররা নতুন অর্থমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, লোকসভা ভোটের আগে অন্তর্বর্তী বাজেটে আয়কর আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা বাঁধা হয়েছে, কোনও ভাবেই তা ছোঁয়া সম্ভব নয়। হয় লক্ষ্যমাত্রা কমানো হোক, না হলে অন্তত একই রেখে দেওয়া হোক। সেই আর্জি মেনে আয়কর ও কর্পোরেট কর থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ১৩.৭৮ লক্ষ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ১৩.৩৫ লক্ষ কোটি করেছেন নির্মলা সীতারামন। কিন্তু সেই লক্ষ্যেও পৌঁছনো যাবে কি না, তা নিয়ে আয়কর দফতরের অফিসারদের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। তবে বুধবার আয়কর দিবসের অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রীর দাবি, এই লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব। যাঁরা কর ফাঁকি দিচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে কড়া মনোভাব নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
নির্মলা বলেন, ‘‘লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনো সম্ভব। এ জন্য ইডি, আয়কর দফতর ও রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের মধ্যে আরও ভাল সমন্বয় তৈরি করতে হবে। হাতে থাকতে হবে ঠিক তথ্য। পাশাপাশি, নিজেদের মধ্যে তথ্যের আদানপ্রদান এবং করদাতাদের প্রোফাইল তৈরি করে ফেলতে হবে।’’ তাই বলে করদাতাদের হেনস্থা করা যাবে না বলেও স্পষ্ট করে দেন তিনি। এ দিন প্রত্যক্ষ কর পর্ষদের (সিবিডিটি) চেয়ারম্যান প্রমোদ মোদীও জানান যে, এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে যাতে করদাতারা আনন্দের সঙ্গে কর দেন।
বাজেটে অতি ধনী ব্যক্তিদের আয়করে বাড়তি সারচার্জ বসেছে। তা নিয়ে অসন্তোষও তৈরি হয়েছে। নির্মলার বক্তব্য, ‘‘কাউকে বেশি আয় করার জন্য সাজা দিচ্ছি না। যাঁরা বেশি আয় করতে পারছেন না, তাঁদের মধ্যে আয় বণ্টন করতে চাইছি।’’
আয়কর ও কর্পোরেট কর থেকে এ বছরের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম বলেছিলেন, গত বছরে আয় বেড়েছিল ৭.১%। এ বছর ২৩.২৫% বৃদ্ধির লক্ষ্য স্থির হয়েছে। অলিম্পিকের পোলভল্টার ছাড়া এ কাজ সম্ভব নয়। কিন্তু নির্মলার যুক্তি, পাঁচ বছরে প্রত্যক্ষ কর থেকে আয় দ্বিগুণ হয়েছে। ফলে ১১.৮ লক্ষ কোটি টাকা থেকে ১৩.৩৫ লক্ষ কোটিতে পৌঁছনো খুব কঠিন নয়।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy