Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪

চিন ছেড়ে ভারতে আসুন, আর্জি নির্মলা সীতারামনের

গত কয়েকটি ত্রৈমাসিকে ভারতীয় অর্থনীতির গতি কমেছে। চাহিদা কমতে থাকায় বেসরকারি লগ্নিরও দেখা নেই। এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র।

একসঙ্গে: অন্যান্য দেশের অর্থমন্ত্রীদের সঙ্গে ছবি তুলতে ব্যস্ত নির্মলা সীতারামন। ওয়াশিংটনে। আইএমএফ ও বিশ্বব্যাঙ্কের বার্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। রয়টার্স

একসঙ্গে: অন্যান্য দেশের অর্থমন্ত্রীদের সঙ্গে ছবি তুলতে ব্যস্ত নির্মলা সীতারামন। ওয়াশিংটনে। আইএমএফ ও বিশ্বব্যাঙ্কের বার্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। রয়টার্স

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:৩৭
Share: Save:

আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক-যুদ্ধে ধাক্কা খেয়েছে চিনের অর্থনীতি। সে দেশে ব্যবসা করা বহু বিদেশি সংস্থা জানিয়েছে ক্ষতির কথা। অনেকে আবার চাইছে চিনের বদলে অন্য দেশকে উৎপাদন তালুক এবং বাজার হিসেবে ব্যবহার করতে। বেশ কিছু দিন ধরে এই সংস্থাগুলিকেই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে মোদী সরকার। ওয়াশিংটনে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (আইএমএফ) এবং বিশ্ব ব্যাঙ্কের বার্ষিক সভায় ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বক্তব্যে সেই কৌশল আরও স্পষ্ট হয়েছে। নির্মলার অবশ্য দাবি, শুধু শুল্ক-যুদ্ধকে কাজে লাগাতে চেয়ে চিনে ব্যবসা করা সংস্থাগুলিকে টোপ দেওয়া তাঁর উদ্দেশ্য নয়। একটি সংস্থার নির্দিষ্ট কোনও দেশ ছাড়তে চাওয়ার পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে।

গত কয়েকটি ত্রৈমাসিকে ভারতীয় অর্থনীতির গতি কমেছে। চাহিদা কমতে থাকায় বেসরকারি লগ্নিরও দেখা নেই। এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। এর মধ্যে রয়েছে এক ধাক্কায় কর্পোরেট কর খানিকটা কমানোও। আশা, শিল্প সংস্থাগুলির হাতে বাড়তি মুনাফা এলে বিনিয়োগও বাড়াবে তারা। শনিবার ভারতীয় সময় গভীর রাতে আন্তর্জাতিক মঞ্চেও বিদেশি সংস্থাগুলিকে বিভিন্ন সুবিধার বার্তাই দিতে চেয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, যে সমস্ত সংস্থা চিনের বদলে ভারতে বিনিয়োগ করতে চায় তাদের জন্য একটি নীল নকশা তৈরি করবেন তিনি। নির্মলা বলেন, ‘‘ওই সমস্ত সংস্থাকে চিহ্নিত করতে হবে। শুধু যারা চিন ছাড়াছে তাদের কথাই বলছি না, যারা এ ব্যাপারে ভাবছে, তাদেরও তালিকায় রাখতে হবে। তারা আমেরিকার হতে পারে। ইউরোপীয় বা ব্রিটিশও হতে পারে। তাদের বোঝাতে হবে কেন ভারত বিনিয়োগের আদর্শ জায়গা। আমি দেশে ফিরে সেই নীল নকশা তৈরি করব।’’

এই প্রসঙ্গে নির্মলা মনে করান, আইএমএফের রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি এবং আগামী অর্থবর্ষেও বৃদ্ধির হারে প্রথম সারিতেই থাকবে ভারত। সারা বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধিতে বৃহৎ অর্থনীতিগুলির মধ্যে এ দেশের অবদানই থাকবে সবচেয়ে বেশি।

তবে তিনি যে শুধু শুল্ক-যুদ্ধের থেকে মুনাফা ঘরে তোলার কথা ভাবছেন না, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন নির্মলা। জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে যে রক্ষণশীলতার পরিবেশ সম্প্রতি তৈরি হয়েছে, তার মোকাবিলা সঙ্গবদ্ধ ভাবেই করতে হবে। এবং তা করতে হবে বিভিন্ন স্তরে। যেমন জাতীয় স্তরে আর্থিক নীতি, ঋণ নীতি এবং অর্থনীতির কাঠামোগত পদক্ষেপের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকলেই তা বৃদ্ধিতে গতি আনতে সাহায্য করবে। আবার আইএমএফকেও এমন একটি ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অর্থনীতির রোগটা ঠিক ভাবে চিহ্নিত করা যায়। নেওয়া যায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy