Advertisement
E-Paper

দ্বিধা কাটিয়ে লগ্নির আহ্বান অর্থমন্ত্রীর, কর নিয়ে প্রশ্ন শিল্পের

বাজেটের পরে এ দিন সিআইআইয়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। বণিকসভাটির কর্তা রাজীব মেমানি বলেন, ‘‘উদ্যোগপতিদের উপর করের বোঝা বেড়েছে।’’

সিআইআইয়ের মুখোমুখি অর্থমন্ত্রী। ছবি: পিটিআই।

সিআইআইয়ের মুখোমুখি অর্থমন্ত্রী। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:৫৩
Share
Save

চাহিদায় ধাক্কা এবং পুঁজির জন্য ঋণের অভাবে ভাটা চলছিল নতুন লগ্নিতে। দ্বিধা ছিল শিল্পমহলের মনেও। মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ডাক দিলেন, ‘‘দ্বিধা কাটিয়ে এ বার লগ্নি করুন।’’ যদিও শিল্পমহলের প্রশ্ন, বারবার কেন বিত্তশালীদের কাঁধেই চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে করের বোঝা?

বাজেটের পরে এ দিন সিআইআইয়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। বণিকসভাটির কর্তা রাজীব মেমানি বলেন, ‘‘উদ্যোগপতিদের উপর করের বোঝা বেড়েছে।’’ উত্তরে নির্মলা বলেন, ‘‘আমরা কর বাড়াতে চাই না। আয়করের বোঝা কমাতে বিকল্প কর কাঠামো চালু হয়েছে। যেখানে ছাড় না নিলে আয়করের হার কমবে। এটা একেবারেই প্রথম পদক্ষেপ।... যতটা আশা করছেন, তত তাড়াতাড়ি হবে না।’’

গত জুলাইয়ের বাজেটে নির্মলা অতি-ধনীদের আয়করের উপরে সারচার্জ বসিয়েছিলেন। এ বার ডিভিডেন্ডে কর মেটানোর দায় সংস্থার কাঁধ থেকে সরিয়ে লগ্নিকারীদের উপরে চাপিয়েছেন। আবার ইপিএফ, এনপিএস ও অবসরকালীন তহবিলে নিয়োগকারীর তরফে ৭.৫ লক্ষ টাকার বেশি জমার ক্ষেত্রে করছাড় মিলবে না বলেও ঘোষণা করেছেন। বাড়িয়েছেন চিকিৎসার যন্ত্রপাতির আমদানি শুল্ক। এই ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন ফিকি-র কর্তারাও। রাজস্ব সচিব অজয়ভূষণ পাণ্ডের জবাব, ‘‘পিএফ, এনপিএসের উপর ৭.৫ লক্ষ টাকার ঊর্ধ্বসীমা বছরে ৬০ লক্ষ টাকার উপরে বেতনভুকদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। প্রায় সব দেশেই এ রকম ঊর্ধ্বসীমা রয়েছে।’’ ডিভিডেন্ড করের নতুন ব্যবস্থাও ঠিকঠাক বলে তাঁর দাবি। প্রত্যক্ষ কর পর্ষদের চেয়ারম্যান পি সি মোদী বলেন, ‘‘করদাতার সংখ্যা বাড়লে, অসংগঠিত ক্ষেত্র কর ব্যবস্থায় এলে, হারে রদবদল করা যাবে।’’

কর্পোরেট কর কমার জন্য বাজেটের অপেক্ষা করেননি অর্থমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, এর সঙ্গে ম্যাট তুলে দেওয়া বা ডিভিডেন্ড কর সংক্রান্ত পদক্ষেপ চরম আশাবাদীও প্রত্যাশা করেননি। কিন্তু ‘মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’। নির্মালার কথায়, ‘‘সমালোচকেরা বলছেন, লগ্নি কোথায়! কর্পোরেট করে যে ছাড় দিয়েছি, তাতে নাকি আপনারা ঋণ শোধ করছেন। আমি বলছি, ভাল। ব্যাঙ্কের ঘরে টাকা থাকবে। ডিভিডেন্ড না দিলেও আমার কিছু বলার নেই। আপনারা যদি সবটাই সঞ্চয় করেন, তা হলেও সমস্যা নেই। একটা সময়ের পরে সেই সঞ্চিত অর্থ কাজে
লাগানো হবেই।’’

শিল্পমহলকে লগ্নির আহ্বান জানিয়ে অর্থমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘আমি চাই আপনারা এ বার দ্বিধা থেকে বেরিয়ে আসুন। আমরা যতটুকু পেরেছি করেছি। কিন্তু সরকার একা কিছু করতে পারবে না।’’

CII Nirmala Sitharaman

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।