বছরে ৩০ লক্ষ টন সিমেন্ট উৎপাদনের ক্ষমতা নিয়ে রাজ্যে চালু হল শ্রী সিমেন্টের নতুন কারখানা। তৈরি হয়েছে পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুরে ‘জঙ্গলসুন্দরী কর্মনগরী’ শিল্পনগরীতে। সোমবার ভার্চুয়াল ব্যবস্থায় সেটির উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংস্থার দাবি, প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মিলে ১২৫০ জনেরও বেশি কর্মসংস্থান হবে। সূত্রের খবর, ১৬ মাসের মধ্যেই ৬৫ একর জমির উপরে কারখানার নির্মাণকাজ শেষ করে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছে।
রাজ্যের আবাসন এবং নির্মাণ শিল্প নিয়ে তাদের সংগঠন ক্রেডাইয়ের এক সভায় এ দিন হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই নতুন কারখানার উদ্বোধন করে বলেন, ‘‘শ্রী সিমেন্টকে ধন্যবাদ জানাই। সংস্থা নতুন প্রকল্প চালু করেছে। ৭৫০ কোটি টাকা লগ্নি হয়েছে রঘুনাথপুরে। সেখানে আমরা বড় শিল্প করিডর তৈরি করেছি। নাম জঙ্গলসুন্দরী। ৭২ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ হবে। ওখানে জমি আছে। তা পাওয়া যাবে।” ডানকুনি-হলদিয়া, ডানকুনি-কল্যাণী এবং ডানকুনি-রঘুনাথপুর আর্থিক করিডর তৈরি হবে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে হাজির শ্রী সিমেন্টের চেয়ারম্যান এইচ এম বাঙ্গুরের মন্তব্য, শিল্পায়নের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারত খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সংস্থা তাতে শামিল হল। বছরে ৩০ লক্ষ টন সিমেন্ট উৎপাদন করবে রঘুনাথপুরের কারখানা। তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গে উৎপাদন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের ১১টি রাজ্যে শ্রী সিমেন্টের কারখানার সংখ্যা দাঁড়াল মোট ১৫টি। বছরে সিমেন্ট উৎপাদনের ক্ষমতা পৌঁছবে ৫ কোটি টনে। লক্ষ্য আগামী দিনে তাকে ৮ কোটিতে নিয়ে যাওয়া।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করায় দূষণ ছড়াবে না এই কারখানা। জার্মানির উন্নত এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি বসেছে। উৎপাদনের এই কর্মকাণ্ডের হাত ধরে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে কর্মসংস্থানের সুযোগ তো তৈরি হবেই। সেই সঙ্গে তা পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডের বাজারে ক্রমশ বাড়তে থাকা সিমেন্টের চাহিদা পূরণের জন্য সংস্থাকে কৌশলগত সুবিধা দেবে। বাঙ্গুরের দাবি, রাজ্যে আরও একটি এই ধরনের কারখানা তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)