বিএসএনএলের ল্যান্ডলাইন বিল নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে নতুন করে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
গ্রাহকদের একাংশের এমনিতেই অভিযোগ, মাঝে মধ্যেই তাঁরা নিয়মিত ফোনের বিল পান না। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে টাকা জমা দিতে দেরি হলে প্রাপ্য ছা়ড় নেওয়ার সুযোগ নষ্ট হয়। এর মধ্যে আবার ওই বিল পাঠানোই বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে অনেকে সংস্থাটির তরফে ফোন পেয়েছেন। যদিও সংস্থার দাবি, এমন পরিকল্পনা তাঁদের নেই।
কিছু গ্রাহকের অভিযোগ, বিএস এনএল কর্মীর পরিচয় দিয়ে তাঁদের ল্যান্ডলাইনে ফোন করে মোবাইল নম্বর ও ই-মেল আইডি জানতে চাওয়া হচ্ছে। গ্রাহকেরা এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে ওই কর্মীরা বলেছেন, এর পর রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি আর তাঁদের বাড়িতে ডাকে কাগজের বিল পাঠাবে না। পরিবর্তে এসএমএস বা ই-মেলে বিল পাঠানো হবে। স্বাভাবিক ভাবেই এমন ফোন পেয়ে চিন্তায় অনেকেই। কারণ সকলেরই মোবাইল বা ই-মেল আইডি না-ও থাকতে পারে। তা হলে তাঁরা কী ভাবে ফোনের বিল পাবেন? কী ভাবেই বা টাকা মেটাবেন?
গ্রাহকদের ফোন করে মোবাইল নম্বর বা ই-মেল আইডি চাওয়ার কথা স্বীকার করলেও কাগজের বিল পাঠানো বন্ধের কথা মানতে চায়নি সংস্থাটি। ক্যালকাটা টেলিফোন্স-এর জিএম (ফিনান্স) এস এন কুজুর বুধবার বলেন, ‘‘কাগজের টেলিফোন বিল বন্ধের কোনও সিদ্ধান্তই হয়নি।’’ তাঁরা জানান, বিল পাননি বলে অনেকেই যেহেতু অভিযোগ করেন, তাই বিকল্প ব্যবস্থার জন্যই মোবাইল নম্বর এবং ই-মেল আইডি চাইছেন তাঁরা। সে ক্ষেত্রে বিল বাড়িতে পাঠানোর পাশাপাশি যাতে গ্রাহকের কাছে সেটির বিকল্প নথিও থাকে, সে জন্য এসএমএস বা ই-মেল করার পথ খুলে রাখতে চায় সংস্থা। ইতিমধ্যেই ছ’লক্ষ ল্যান্ডলাইন গ্রাহকের ৫৭ শতাংশের মোবাইল নম্বর তাঁদের কাছে রয়েছে। ৩০% গ্রাহক তাঁদের ই-মেল আইডি-ও ক্যালকাটা টেলিফোন্সকে জানিয়েছেন।
কিন্তু তা হলে কর্মীরা কেন কাগজের বিল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা বলছেন? কর্তৃপক্ষের কেউ কেউ মনে করছেন, সংস্থার শীর্ষ স্তরের ভাবনা সে ক্ষেত্রে সঠিক ভাবে নীচের তলায় পৌঁছয়নি। স্থানীয় এক্সচেঞ্জ থেকে ফোন করার সময়ে কর্মীদের কেউ কেউ তাই এমন কথা বলছেন। যার ফলে বাড়ছে বিভ্রান্তি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy