—প্রতীকী চিত্র।
ক’মাস আগে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক (এথিলিন অক্সাইড) থাকার অভিযোগে ভারতীয় সংস্থা এমডিএইচ গোষ্ঠীর তিনটি ও এভারেস্টের একটি মশলা নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছিল সিঙ্গাপুর ও হংকং। নিউ জ়িল্যান্ড, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশ বিষয়টিতে নজরদারির কথা জানায়। ভারতীয় মশলার আমদানিতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে ব্রিটেন। এমডিএইচ ও এভারেস্টের অবশ্য দাবি ছিল তাদের পণ্য সুরক্ষিত। কিন্তু এর পরে এফএসএসএআই দেশে বিক্রি হওয়া সব মশলার মান পরীক্ষায় নামে। সংবাদ সংস্থার তথ্য বলছে, খাদ্য নিয়ন্ত্রকের সেই মান ও সুরক্ষা পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি ১২ শতাংশই।
তথ্যের অধিকার আইনে মশলা পরীক্ষার ফল কী বেরোল, তা জানতে চেয়েছিল সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। উত্তরে নিয়ন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, মে থেকে জুলাইয়ের মধ্যে মোট ৪০৫৪টি মশলা পরীক্ষা করে দেখে তারা। যার মধ্যে ৪৭৪টি (প্রায় ১২%) সেই মান ও সুরক্ষার পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি। কোন ব্র্যান্ডের কী মশলা পরীক্ষা করা হয়েছিল, তা নিয়ে আলাদা করে তথ্য তাদের কাছে নেই। তবে, অভিযুক্ত সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি এফএসএসএআই -এর। এই প্রসঙ্গে তারা তুলে ধরেছে ভারতীয় আইনে জরিমানা করার নিয়মের কথা। যদিও কোন মশলা ফেল করল, তার তথ্য দেওয়া সম্ভব নয় বলেও স্পষ্ট করেছে নিয়ন্ত্রকটি। তবে খারাপ মানের এবং খাওয়ার জন্য সুরক্ষিত না হওয়া আমজনতার দুশ্চিন্তা বাড়াবে বলেই মত সংশ্লিষ্ট মহলের।
উল্লেখ্য, জ়িয়ন মার্কেট রিসার্চের তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে ভারতের মশলার বাজারের মাপ ১০৪৪ কোটি ডলার (প্রায় ৮৭,৬৯৬ কোটি টাকা)। গত মার্চে শেষ হওয়া অর্থবর্ষে ৪৪৬ কোটি ডলারের (প্রায় ৩৭,৪৬৪ কোটি টাকা) মশলা রফতানি হয়েছে। বিদেশে সবচেয়ে বেশি চাহিদা এখানকার লঙ্কা, জিরে, দারচিনি, হলুদের। এই অবস্থায় বিদেশে দেশীয় মশলার মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠা আটকাতে তৎপর হয়েছে কেন্দ্র। মশলা পর্ষদ রফতানিকারীদের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে। দেশেও মান বজায় রাখা জন্য নজরদারি কড়া করেছে এফএসএসএআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy