—ফাইল চিত্র।
গত অর্থবর্ষে ব্যাঙ্কগুলিকে ডিভিডেন্ড দিতে না-করেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। এ বার ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে (এনবিএফসি) আর্থিক শৃঙ্খলায় বাঁধতেও ডিভিডেন্ডে রাশ টানতে কোমর বেঁধেছে তারা। এ জন্য সম্প্রতি পেশ করেছে একগুচ্ছ প্রস্তাব। কিন্তু সেই সুপারিশকে ভাল ভাবে নেননি বহু লগ্নিকারী। সমালোচনা করে বিশেষজ্ঞদের অনেকেরই দাবি, বিভিন্ন আর্থিক সমস্যার প্রকৃতি আলাদা হলেও, একই দাওয়াইয়ে সবক’টি সমাধানের চেষ্টা করছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। ফলে লাভ কতটা হবে, সন্দেহ আছে।
ব্যবসার ভিত্তিতে এক এক শ্রেণির এনবিএফসির হিসেবের খাতায় অনুৎপাদক সম্পদের হার চিরকালই বেশি অথবা কম থাকে। যেমন, ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থাগুলিতে তা সাধারণত ১.৫-২ শতাংশের মধ্যে থাকে। যারা গাড়ি বা ট্রাক্টরের জন্য ঋণ দেয়, তাদের হতে পারে ৮-৯ শতাংশ। ফলে টানা তিন বছর অনুৎপাদক সম্পদ ৬ শতাংশের মধ্যে না-থাকলে কোনও কারণ ছাড়াই সংস্থার লভ্যাংশ পাওয়া থেকে লগ্নিকারী বঞ্চিত হবেন, দাবি আর্থিক পরিষেবা মহলের।
ম্যাগমা ফিনকর্পের চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার কৈলাশ বাহেতি বলেন, ‘‘একই দাওয়াই সব ক্ষেত্রে প্রয়োগে সমস্যা হতে পারে। প্রতিটির ব্যবসার প্রকৃতি, সমস্যা অনুযায়ী এগোতে হবে।’’ কেউ তার সম্পদ বেচে একলপ্তে টাকা পেলে এবং তা মুনাফায় যোগ হলে, তার উপরেও ডিভিডেন্ড দেওয়া যাবে না বলে প্রস্তাব রয়েছে।
আরও খবর: কমছে আয়, ঝুঁকির মুখে ইএসআইয়ের সুরক্ষা
আরও খবর: মদ না টিকা? বিতর্ক বাড়ছে
বাহেতি-সহ আরও কিছু এনবিএফসি কর্তার মতে, এটা অযৌক্তিক। এনবিএফসির শেয়ার বা বন্ডে লগ্নি ধাক্কা খেতে পারে। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক সূত্রের অবশ্য দাবি, আর্থিক শৃঙ্খলা আনা ও হিসেবের খাতা স্বচ্ছ করাই লক্ষ্য। সংশ্লিষ্ট মহলকে খসড়া প্রস্তাবগুলি নিয়ে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে মতামত জানাতে বলেছে আরবিআই। তার পরে সিদ্ধান্ত হবে।
সুপারিশ
শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা ও
বিলি করার অনুমতি পাবে শুধু সেই সমস্ত এনবিএফসি, যারা রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের বেঁধে দেওয়া শর্ত পূরণ করতে
পারবে। শর্তগুলি হল—
• নিট অনুৎপাদক সম্পদ শেষ তিন বছরে প্রতিটিতে (যে বছরের জন্য ডিভিডেন্ড দেওয়া হবে সেটি নিয়ে)
৬ শতংশের কম হতে হবে।
• যে এনবিএফসি আমানত সংগ্রহ করে এবং যেগুলি আমানত সংগ্রহ না-করলেও সম্পদের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা বা তার বেশি (সিস্টেমেটিক্যালি ইমপর্ট্যান্ট এনবিএফসি), তাদের ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের প্রেক্ষিতে মূলধনের অনুপাত (ক্যাপিটাল-টু-রিস্ক-ওয়েটেড অ্যাসেট) টানা তিন বছর অন্তত ১৫% হতে হবে। এটাও ওই তিন বছরের জন্য।
• বাকিদের ক্ষেত্রে ওই অনুপাত ৭ শতাংশের কম হলেও অসুবিধা নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy