প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রে টানা তিন বার সরকার গড়ার সুযোগ এলেও বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় এ বার শরিক নির্ভরতা তৈরি হল নরেন্দ্র মোদীর। মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ রেটিংস এবং মুডি’জ় রেটিংসের বক্তব্য, এর ফলে তাঁর সরকারের পূর্ব নির্ধারিত সংস্কার কর্মসূচিগুলির রূপায়ণে দেরি হতে পারে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, সম্প্রতি এসঅ্যান্ডপি ভারতীয় অর্থনীতি সম্পর্কে মূল্যায়নের উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি জানিয়েছিল, আগামী দু’বছর সরকারের আর্থিক কর্মসূচির দিকে নজর রাখার পরে ক্রেডিট রেটিং বাড়ানো হতে পারে। কিন্তু সংস্কার প্রক্রিয়াই যদি বিঘ্নিত হয়, তা হলে রেটিংয়ের উন্নতির সুযোগ থাকবে কি? যদিও আজ কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরনের দাবি, শাসক ও বিরোধী দু’পক্ষই শক্তিশালী হওয়ায় সংস্কারের গতি বরং বাড়বে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে তার দায় চাপবে রাজ্যের উপরে।
সম্প্রতি সংবাদ সংস্থা রয়টার্স তাদের এক রিপোর্টে জানিয়েছিল, উপর্যুপরি তৃতীয় বার ক্ষমতায় এলে কোন কোন ক্ষেত্রে সংস্কারের কাজ চালানো হবে তা আগেই ঠিক করে রেখেছেন মোদী। তার প্রথম সারিতে রয়েছে শ্রম, শিল্পের জমি এবং আমদানি শুল্ক। কারণ, সংস্থাগুলি এই সমস্ত ক্ষেত্রে বাড়তি স্বাধীনতা পেলে উৎপাদন ক্ষেত্রের উন্নতি হবে। তার ফলে তৈরি হবে কাজ। যে বিষয়টি নিয়ে নির্বাচনী প্রচারের সময়েও এড়িয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীরা। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, আর্থিক সংস্কারের জন্য যদি জেডিইউ এবং টিডিপির মতো দলের সম্মতির প্রয়োজন হয়, তা হলে সেই প্রক্রিয়া গতি হারাতে পারে।
আজ এক রিপোর্টে ফিচ লিখেছে, ‘‘দুর্বল সংখ্যাগরিষ্ঠতা তাঁর (মোদীর) সংস্কারের পরিকল্পনার সামনে চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।... বিশেষত জমি এবং শ্রমের মতো যে সমস্ত ক্ষেত্রে সংস্কারের কথা আগে থেকে বিজেপি ভেবে রেখেছিল।’’ মুডি’জ়ের বক্তব্য, পরিকাঠামো ক্ষেত্রে খরচ বৃদ্ধি, উৎপাদন ক্ষেত্রকে চাঙ্গা করার মতো বিভিন্ন বিষয়ে নীতির ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে তাদের আশা। কিন্তু এনডিএ নামমাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠাতা পাওয়ায় সংস্কারমূলক পদক্ষেপের ক্ষেত্রে তাদের সময় লাগতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy