প্রতীকী ছবি।
অনলাইনে ৭৫০টি নতুন মদের দোকান খোলার লাইসেন্স দিয়ে বেকায়দায় পড়েছে আবগারি দফতর!
লোকসভা ভোটের আগে নতুন মদের দোকানগুলি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে লাইসেন্স প্রাপকেরা আদালতে যান। ঠিক হয়, পুলিশি অনুমোদন নিয়ে দোকান খোলার ব্যবস্থা করবে রাজ্য। সেই মতো ভোট মিটতেই গত ২১ নভেম্বর থেকে ২০-২৫টি দোকানে ফের লাইসেন্স দেওয়া শুরু করে আবগারি দফতর। কিন্তু প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরের নির্দেশ, ‘‘এখনই বন্ধ করতে হবে অনলাইনে লাইসেন্স পাওয়া সব মদের দোকান।’’
ফলে ফাঁপড়ে পড়েছেন আবগারি কর্তারা। আদালত সরকারি নিয়ম মেনে বিলি করা মদের লাইসেন্স নিয়ে দফতরের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে। অথচ নবান্ন দোকান খোলার বিপক্ষে। এর মাঝে কী ভাবে লাইসেন্স প্রাপকদের মামলা মোকদ্দমার হাত থেকে কর্তারা বাঁচবেন তা নিয়ে দিশেহারা তাঁরা। রাজ্যের আবগারি সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ফোন ধরেননি। এ নিয়ে পাঠানো মেসেজের জবাব দেননি। আবগারি কমিশনার খালিদ আনওয়ারও কথা বলতে রাজি হননি।
নবান্নের খবর, জিএসটি চালুর পরে সরকারের আয় বাড়ানোর গুরুত্বপূর্ণ উৎস হয়ে উঠেছে আবগারি, লটারি, স্ট্যাম্প ডিউটি ইত্যাদি। যে কারণে অনলাইনে বিলিতি মদের ১২০০টি দোকান খোলার লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আবগারি দফতর। জেলায় জেলায় প্রায় ৭৫০টির লাইসেন্সও দেওয়া হয়। জমা আরও অন্তত ২৫০টি দোকানের আবেদন। কিন্তু ভোটের আগে মন্ত্রিসভার বৈঠকে মদের দোকান নিয়ে অসন্তোষ জানান মন্ত্রীদের একাংশ। সেখানেই সব দোকান বন্ধ করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
লাইসেন্স প্রাপকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট অবশ্য আবগারি কমিশনারের রিপোর্ট তলব করে জানতে চেয়েছে, রাজ্য লাইসেন্স দিয়েও কেন দোকান খুলতে দিচ্ছে না। পরে সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, যে সব জায়গায় লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে সেখানকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশের রিপোর্ট চাওয়া হবে। সেই মতো আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্ট হয়ে পুলিশ ২০০টি দোকান খোলার ছাড়পত্র দিয়েছে। ‘সন্তুষ্ট’ না হওয়ায় অন্তত শ’দুয়েক দোকানের ক্ষেত্রে ‘নো কমেন্টস’ লিখে পাঠিয়েছে।
আবগারি দফতর সূত্রের খবর, পুলিশি ছাড়পত্রের পরেই বিধাননগর, ব্যারাকপুর, মালদহ এবং আরামবাগের প্রায় ২৫টি দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়। ২১ নভেম্বর থেকে ২০ মে, এই ছ’মাসের জন্য। কিন্তু পরে অবস্থান বদলায় রাজ্য। এখন পুলিশি ছাড়পত্র পেলেও আর দোকান খোলা হচ্ছে না। কিন্তু যেগুলি খোলা হয়ে গিয়েছে, সেগুলির কী হবে? এ প্রশ্নের জবাব নেই আবগারি কর্তাদের কাছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy