প্রতীকী ছবি।
অসংখ্য ক্রেতার সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা করার অভিযোগে বেঙ্গালুরুর আবাসন নির্মাতা গোষ্ঠী মন্ত্রী ডেভেলপার্সের ডিরেক্টর সুশীল পি মন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তাদের অভিযোগ, হাজার খানেক সম্ভাব্য আবাসন ক্রেতার সামনে আকর্ষণীয় আর্থিক প্রকল্প তুলে ধরে, বিভ্রান্তিমূলক ব্রোশিয়োর দেখিয়ে এবং ফ্ল্যাট হাতে দেওয়ার সময় সম্পর্কে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাজার কোটি টাকারও বেশি তুলেছিল সংস্থা। অথচ ৭-১০ বছর পরেও ফ্ল্যাটের মালিকানা দেওয়া হয়নি। মন্ত্রীকে বিশেষ আর্থিক প্রতারণা প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ) আদালত ১০ দিনের ইডি-র হেফাজতে পাঠিয়েছে।
ইডি বিবৃতিতে বলেছে, মন্ত্রী ডেভেলপার্স এবং তার প্রোমোটারদের বিরুদ্ধে ২০২০ সালেই বেঙ্গালুরু পুলিশের কাছে এফআইআর জমা পড়েছিল। তা জানতে পেরে তারা গত মার্চে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। তদন্তে দেখা গিয়েছে, ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে আবাসন ক্রেতাদের কাছ থেকে যে টাকা নেওয়া হয়েছিল, তা সংস্থার প্রোমোটারেরা কখনও ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেছেন, কখনও অন্য কোনও জালিয়াতির উদ্দেশ্যে কাজে লাগিয়েছেন। ফলে নির্মাণ প্রকল্প থমকে গিয়েছে।
তদন্তকারী সংস্থাটির দাবি, বাই-ব্যাক (ফেরত যোগ্য) সুবিধার নামে পন্জ়ি-র আদলে নানা রকম প্রকল্প এনে ফ্ল্যাট-বাড়ির অগ্রিম হিসেবে অর্থ সংগ্রহ করে মন্ত্রী ডেভেলপার্স। এ ছাড়াও, বর্তমানে ওই গোষ্ঠীর বাজারে প্রায় ৫০০০ কোটি টাকার ধার, যা বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের থেকে নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় হাজার কোটি টাকার ঋণ সময় পেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও মেটানো হয়নি। কিছু ঋণ ইতিমধ্যেই অনুৎপাদক সম্পদ হিসেবে নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, সংস্থাটি একই সম্পদ বিভিন্ন আর্থিক সংস্থার কাছে বন্ধক রেখে একাধিক ধার তুলেছে।
কেন্দ্রের আনা আবাসন আইনে (রেরা) বলা আছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্রেতাদের ফ্ল্যাট হাতে তুলে দেওয়া বা প্রতিশ্রুতি রাখতে না পারলে আবাসন সংস্থার অগ্রিম ফেরানোর নিয়মের কথা। তবে ইডি এবং পুলিশের কাছে ক্রেতাদের অভিযোগে স্পষ্ট, এই সব কিছুর তোয়াক্কাই করেনি মন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy