গত মে মাস থেকে টানা ২৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদ বাড়িয়েছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। ফলে রেপো রেট হয়েছে ৬.৫%। প্রতীকী ছবি।
গত এক বছরে দেশে যে হারে সুদ বেড়েছে, তাতে বিশেষত ছোট সংস্থাগুলির ঋণ শোধের খরচ মাথা তুলেছে অনেকটাই। এর জেরে যে সব সংস্থা মূলত সম্পত্তি বন্ধক রেখে ধার নিয়েছে, তাদের সেই ঋণ অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে রিপোর্টে জানাল মুডি’জ়। এমনকি রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক এপ্রিলের মতো আগামী কয়েকটি ঋণনীতিতে সুদের হার বৃদ্ধি স্থগিত রাখলেও, পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতির আশা দেখছে না মূল্যায়ন সংস্থাটি।
চড়া মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে গত মে মাস থেকে টানা ২৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদ বাড়িয়েছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। ফলে রেপো রেট (যে সুদে ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেয় আরবিআই) হয়েছে ৬.৫%। এর সঙ্গে গৃহঋণ এবং ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি সংস্থাগুলির ঋণ যুক্ত। রেপো বাড়লে ব্যাঙ্ক এবং ব্যাঙ্ক নয় এমন প্রতিষ্ঠানগুলিতে (এনবিএফসি) এই দুই ক্ষেত্রের ঋণে সুদ বাড়ে, উল্টোটা হলে কমে। ফলে গত এক বছরে ছোট সংস্থার সুদের খরচ চড়েছে। সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, নোটবন্দি থেকে তড়িঘড়ি জিএসটি চালু ও তার পরে কোভিড ছোট শিল্পকে আর্থিক ভাবে বেহাল করেছে। এ বার সুদ। মুডি’জ়েরও বক্তব্য, এতে এক দিকে ছোট শিল্পের ঋণ শোধের ক্ষমতা কমেছে। অন্য দিকে এনবিএফসিগুলির পুঁজি জোগাড়েরখরচ বাড়ায় তারা ঋণে সুদ বাড়াচ্ছে। ঋণ ঢেলে সাজানোর সুযোগও থাকছে না। ঝুঁকি বাড়ছে সেগুলির অনুৎপাদক সম্পদ হওয়ার। এই পরিস্থিতি সম্পত্তি বন্ধক রেখে নেওয়া ঋণ কেনাবেচার বাজারের পক্ষে ক্ষতিকর।
চড়া সুদ ও আবাসনের দাম বৃদ্ধিও ঋণদাতাদের বিভিন্ন সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলছে, দাবি মুডি’জের। তাদের মতে, ঋণ খেলাপের ফলে যে সম্পত্তি ঋণদাতাদের হাতে আসছে, চড়া সুদের কারণে চাহিদা না থাকায় সেগুলি বেচতে পারছে না তারা। ফলে ওই ধরনের ঋণ দেওয়ার উৎসাহও কমছে তাদের মধ্যে। এই অবস্থা সুবিধার নয় বলেই সতর্ক করছে মুডি’জ়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy