রাজ্যে একাধিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থানের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিশ্রুতি কার্যকর না হওয়া নিয়ে বিরোধীদের বরাবরের অভিযোগ নস্যাৎ করে বললেন, “অনেকে বলে, ঘোষণার পরেও কাজ হয় না। রাজ্যের সৌভাগ্য, শিল্পের গন্তব্য হয়ে উঠছে পশ্চিমবঙ্গ।”
আগামী ২১ এপ্রিল নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ছাত্রসমাজ এবং চাকরিপ্রার্থীদের ১২টি সংগঠন। ওই দিনই মমতা দুপুর দু’টোয় শালবনিতে জিন্দলদের প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। যেটির ঘোষণা হয়েছিল বিজিবিএসে। এতে ৮০০ মেগাওয়াট করে দু’টি ইউনিট হওয়ার কথা সুপার ক্রিটিকাল প্রযুক্তিতে। মমতা জানান, ১৬,০০০ কোটি টাকা লগ্নি হবে। জিন্দলেরা এর সঙ্গে শিল্পতালুকও তৈরি করবেন। ‘লেটার অব অ্যাওয়ার্ড’ দিয়েছে রাজ্য।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, “বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ১১% বেড়েছে। ডেউচা পাঁচামি প্রকল্প হলে ১০০ বছর বিদ্যুতের চাহিদা মিটবে। কমবে দামও।” তাঁর সংযোজন, “রাজ্য বিদ্যুতের দাম বাড়ায় না। সিইএসসি বাড়ায়। তা আমাদের হাতে নেই।” মমতার বক্তব্য, ডেউচার কাজ চলছে। আরও যাঁরা জমি দেবেন, সরকার তাঁদের সহযোগিতা করবে। তিনি আরও জানান, ২২ এপ্রিল গোয়ালতোড়ে একটি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পেরও উদ্বোধন হবে। তাতে জার্মানির একটি সংস্থা ৮০% এবং রাজ্য ২০% খরচ করছে। আপাতত ক্ষমতা ১১২.৫ মেগাওয়াট। পরে তা আরও ১০০ মেগাওয়াট বাড়ানোর ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দাবি, সাগরদিঘিতে ৬৬০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র হয়েছে। ডিপিএল, বক্রেশ্বরে ৬৬০ মেগাওয়াট করে কাজ চলছে। সাঁওতালডিহিতে ৮০০ মেগাওয়াট করে দু’টি হবে। মমতার কথায়, “এগুলি জনস্বার্থে। এটা শিল্প সহায়ক হবে এবং কর্মসংস্থান বাড়াতে সাহায্য করবে।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)