প্রতীকী ছবি।
লকডাউনের দু’মাস, এপ্রিল এবং মে-তে কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ড (ইপিএফ) থেকে ১১,৫৪০ কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন ওই তহবিলের সদস্যেরা। তার মধ্যে শুধু প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ প্রকল্পে দেওয়া সুবিধার সূত্রেই ৪৫৮০ কোটি টাকা তুলেছেন ১৫.৫৪ লক্ষ সদস্য। এঁদের মধ্যে ৭৪ শতাংশেরই মাসে আয় ১৫,০০০ টাকার মধ্যে। ৫০,০০০ টাকা কিংবা তার বেশি আয় সত্ত্বেও টাকা তুলেছেন মাত্র ২%। আর বাকি ২৪ শতাংশের রোজগার ওই ১৫ থেকে ৫০ হাজারের মধ্যে। মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে শ্রম মন্ত্রক।
কিন্তু বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ শৈবাল বিশ্বাসের বক্তব্য, ‘‘প্রথমত, ভারতের মতো ন্যূনতম সামাজিক সুরক্ষার দেশে পিএফের মতো অবসরের সঞ্চয়ে হাত পড়া একেবারেই কাঙ্ক্ষিত নয়। এতে সরকারের ঘাড় থেকে সুদের বোঝা কমে। কিন্তু ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয় টাকা তুলতে বাধ্য হওয়া সাধারণ মানুষের। আর এই পরিসংখ্যানে স্পষ্ট যে, সব থেকে বেশি টাকা তুলতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা, যাঁদের ভবিষ্যতে তার প্রয়োজন পড়বে সব থেকে বেশি।’’ যুক্তি, কম আয়ের মানুষ এমনিতেই জমাতে পারেন তুলনায় কম। পিএফের মতো বাধ্যতামূলক টাকা কাটার প্রকল্পে তবু তাঁদের বহু কষ্টে দু’পয়সা জমে। কিন্তু এখনকার পরিস্থিতি সামাল দিতে সেটুকুও খালি হয়ে গেলে, অবসর জীবনে আরও কষ্টের সম্ভাবনা।
১.৭ লক্ষ কোটি টাকার প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ প্রকল্পে ইপিএফের টাকার একাংশ তোলার পথ মসৃণ করেছিল কেন্দ্র। জানিয়েছিল, তিন মাসের বেতন কিংবা তহবিলে থাকা টাকার ৭৫ শতাংশের মধ্যে যেটি কম, সেই অঙ্ক এখনকার কঠিন পরিস্থিতি সামাল দিতে তুলে নিতে পারবেন গ্রাহক। সেই পথ মসৃণ করতে পদ্ধতিগত বিভিন্ন বাধাও দূর করেছে শ্রম মন্ত্রক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy