দেশের সমস্ত মানুষকে বিমার আওতায় আনার কথা বলছে কেন্দ্র। যদিও সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের অভিযোগ, দিনের পর দিন জীবন বিমা এবং স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়াম চড়ছে। সবচেয়ে চাপে পড়েছেন প্রবীণ নাগরিকেরা। এই সমস্ত অভিযোগ নিয়ে বুধবার লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রাষ্ট্রায়ত্ত জীবন বিমা নিগমের (এলআইসি) এজেন্টরা। তাঁদের অভিযোগ, বিমা নিয়ন্ত্রক আইআরডিএ এবং এলআইসি-র সাম্প্রতিক বিধি বদলের ফলে দরিদ্র এবং প্রান্তিক মানুষের পক্ষে বিমা প্রকল্প কেনা কঠিনতর হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি কঠিন হচ্ছে এজেন্টদেরও। রাহুলের আশ্বাস, তিনি বিষয়টি উত্থাপন করবেন।
এ দিন লাইফ ইনশিয়োরেন্স এজেন্টস ফেডারেশনের সভাপতি শ্যামল চক্রবর্তী জানান, কমিশনের কাঠামো আগের জায়গায় নিয়ে যাওয়া, গ্রাহকদের বোনাস বৃদ্ধি, জীবন বিমা কেনার সর্বোচ্চ বয়স বাড়িয়ে ৫৫ বছর করা, সমস্ত রকম বিমা প্রকল্পের জিএসটি কমানো-সহ বিভিন্ন দাবিতে দিল্লির রামলীলা ময়দানে ধর্নায় বসেন এলআইসি এজেন্টরা। তাঁদের এক প্রতিনিধি দল সংসদ ভবনে রাহুলের দফতরে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। পরে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘১৯৫৬ সালে এলআইসি তৈরি হয়েছিল সমস্ত দেশবাসীর কাছে কম খরচে বিমার সুবিধা পৌঁছনোর জন্য। বিশেষত দরিদ্রদের, যাঁদের সামাজিক সুরক্ষা ছিল
না। এলআইসি-র সেই লক্ষ্য যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে, তার জন্য মুখ খুলব।’’ বিমা ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির ঊর্ধ্বসীমা ১০০% করার আগে সুরক্ষামূলক পদক্ষেপ নিশ্চিত করার জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছে অর্থ বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)