—প্রতীকী চিত্র।
২০২২-’২৩ আর্থিক বছরের মূল আয়কর জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩১ জুলাই। তবে যাঁরা এই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারেননি তাঁরা কি আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন না? কী পদক্ষেপ করা হবে তাঁদের ক্ষেত্রে?
যাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন জমা করতে পারেননি, তাঁরা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিলম্বিত আয়কর জমা করতে পারবেন আয়কর আইনের ধরা ১৩৯(৪) অনুযায়ী। কিন্তু তার জন্য তাঁকে ২৩৪এফ ধরা অনুযায়ী জরিমানা দিতে হবে। সেই পরিমাণ কত?
• যদি সেই ব্যক্তির মোট আয় বছরে পাঁচ লক্ষ টাকার বেশি হয়, তা হলে তাঁকে দিতে হবে ৫ হাজার টাকা জরিমানা।
• যদি সেই ব্যক্তির মোট আয় বছরে ৫ লক্ষ টাকার কম হয়, তা হলে তাঁকে ১ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।
• আর যদি সেই ব্যক্তির মোট আয় যদি বছরে আড়াই লক্ষ টাকার কম হয়, তা হলে তাঁকে কোনও জরিমানা দিতে হবে না।
তবে জেনে রাখা ভাল, নির্ধারিত সময় যাঁরা আয়কর রিটার্ন জমা করেননি, তাঁরা বিভিন্ন কর ছাড়ের সুবিধা না-ও পেতে পারেন (যেমন ১০এ, ১০বি, ৮০-আই এ,৮০-আই বি,৮০- আই সি, ৮০- আই ডি, ৮০- আই ই)। এ ছাড়া ব্যাবসা ও মূলধনী লোকসান আগামী বছরে স্থানান্তর করতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে ট্যাক্স লায়াবিলিটি বৃদ্ধি পাবে। এর জেরে আয়করের পরিমাণ বেড়ে যাবে। দেরিতে আইটিআর ফাইল করলে জরিমানার পাশাপাশি সুদও দিতে হতে পারে যদি মোট আয়করের পরিমাণ ১০ হাজারের বেশি হয়। আয়কর আইনের ২৩৪এ , ২৩৪বি, ২৩৪সি ধারা অনুযায়ী, মোট আয়করের উপর প্রতি মাসে এক শতাংশ হারে সুদ ধার্য করা হবে। এমনকি মাসের এক দিন পর পূর্ণ মাস হিসেবেই গণনা করা হবে।
উদাহরণস্বরূপ যদি এক জন করদাতা ৩ নভেম্বর বিলম্বিত আইটিআর ফাইল করেন, তা হলে বিলম্বটি ৩ মাস এবং ৩ দিনের হবে। সে ক্ষেত্রে কিন্তু ওই করদাতাকে মোট চার মাসের জন্য সুদ দিতে হবে।
এ ছাড়া, যাঁরা বিলম্বিত আইটিআর ফাইল করবেন, তাঁরা আইটিআর-এ রিফান্ডের দাবিতে কোনও সুদ পাবেন না।
তবে মাথায় রাখা উচিত যদি বার্ষিক আয় আড়াই লক্ষ টাকার বেশি হলে রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক। রিটার্ন না দাখিল করলে আয়কর দফতর নোটিসও পাঠাতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy