প্রতীকী ছবি।
ভারতেই সেমিকনডাক্টর ও ডিসপ্লে যন্ত্রাংশ তৈরিতে উৎসাহ দিতে গত ডিসেম্বরে উৎপাদন ভিত্তিক উৎসাহ প্রকল্পে (পিএলআই) এনেছে কেন্দ্র। তার আওতায় ৭৬,০০০ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য দেবে তারা। এই প্রকল্পে পাঁচটি সংস্থা ১.৫৩ লক্ষ কোটি টাকার লগ্নি প্রস্তাব দিয়েছে বলে শনিবার ঘোষণা করল বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক। চিপ এবং ডিসপ্লে তৈরির জন্য এই আর্জি জমা পড়েছে বলে জানানো হয়েছে।
গাড়ির পাশাপাশি ফোন বা ফ্রিজ়ের মতো ভোগ্যপণ্যেও এখন চিপের মতো বৈদ্যুতিন যন্ত্রাংশ লাগে। বিভিন্ন ধরনের চিপ তৈরি হয় সেমিকন্ডাক্টর থেকে। করোনার হানার পর লকডাউনে যখন গাড়ির ব্যবহার কমায় তার চাহিদা কমছিল, তখন উল্টো পথে হেঁটে ঘরবন্দি মানুষের কাছে অত্যাবশ্যক হয়ে পড়ে ফোন, ল্যাপটপের মতো পণ্য। সেগুলির চাহিদাও বাড়ে। ফলে চিপ সংস্থাগুলি ভোগ্যপণ্যে ব্যবহারের উপযোগী চিপ তৈরিতে জোর দেয়।
তার উপরে পরবর্তীকালে বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পরে গাড়ির চাহিদা কিছুটা ফিরলেও সেই অনুযায়ী উৎপাদন বাড়ানোর পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় উপযোগী চিপের অভাব। গাড়ি সংস্থাগুলির পরিকল্পনার অভাব, চিনের থেকে চিপ আমদানিতে বিভিন্ন দেশের কড়াকড়ি, চিনা সংস্থাগুলি বেশি করে তা মজুত করায় এবং বিভিন্ন দেশে পণ্যটির কারখানাগুলিতে উৎপাদন ধাক্কা খাওয়ার কারণেও সমস্যা বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতে সেমিকনডাক্টর ও ডিসপ্লে যন্ত্রাংশ তৈরিতে সংস্থাগুলির আগ্রহ বাড়াতে ওই প্রকল্পের ঘোষণা করেছিল মোদী সরকার।
আজ মন্ত্রক জানিয়েছে, সেই উৎসাহ প্রকল্পের আওতায় বেদান্ত-ফক্সকনের জোট-সহ তিনটি সংস্থা সেমিকনডাক্টর এবং অন্য দু’টি সংস্থা ডিসপ্লে তৈরির কারখানা গড়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এতেই দেড় লক্ষ কোটির লগ্নির কথা জানিয়েছে তারা। তার উপরে একই পথে হেঁটে আরও বেশ কয়েকটি সংস্থা গবেষণা, সেমিকনডাক্টরের নকশা তৈরির জন্য প্রকল্পে অংশ নিতে চেয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে কোয়ালকম, ইন্টেল, মিডিয়াটেক, টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্ট এবং ইনফিনিয়নের মতো সংস্থা ভারতে গবেষণা এবং উন্নয়ন কেন্দ্র চালায়। চিপ তৈরির পেছনে যেগুলির
ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy