প্রতীকী ছবি।
দেশ জুড়ে চারটি শ্রম বিধি চালু হওয়ার কথা ছিল নতুন অর্থবর্ষের শুরু (বৃহস্পতিবার) থেকে। সূত্রের খবর, তা আপাতত পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। বিভিন্ন রাজ্য এখনও পর্যন্ত শ্রম বিধির নিয়ম চূড়ান্ত করেনি। তাই এই সিদ্ধান্ত। এর ফলে কর্মীদের হাতে পাওয়া বেতন স্থির করার হিসাব এবং সংস্থার প্রভিডেন্ট ফান্ডের (পিএফ) দায় এখনকার মতোই বহাল থাকবে। বরং সংস্থাগুলি নতুন নিয়মের সঙ্গে মানিয়ে নিতে একটু সময় পাবে।
সারা দেশে নতুন শ্রম বিধি চালুর জন্য ইতিমধ্যেই নিয়মগুলি চূড়ান্ত করেছে মোদী সরকার। কিন্তু সংবিধান অনুসারে শ্রম সংক্রান্ত বিষয়টি কেন্দ্র ও রাজ্যের মিলিত বিষয় হওয়ায়, প্রত্যেককেই আলাদা করে নিয়ম জারি করতে হবে। এখনও পর্যন্ত কয়েকটি রাজ্য তা করেছে বলে জানাচ্ছে সূত্র। যার মধ্যে রয়েছে উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার এবং হরিয়ানা। বাদবাকি রাজ্য তা না-করায়, বিধি চালু পিছোনো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নতুন বিধিতে কর্মীর ভাতা তাঁর মূল বেতনের অর্ধেকে বেঁধে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে মোট বেতনের (মূল বেতন ও ভাতা) ৫০ শতাংশের উপরে স্থির হবে তাঁর পিএফে জমা টাকার অঙ্ক। বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রেই সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে মূল বেতন কম রেখে বিভিন্ন ভাতা বাড়ানোর অভিযোগ ওঠে। এতে তাদের পিএফের দায় কমে। নতুন নিয়মে তা আর হবে না। উল্টে বাড়বে কর্মীদের হাতে পাওয়া বেতনের অঙ্কও।
শুরু সমীক্ষা: এ দিকে দেশ জুড়ে শ্রম ক্ষেত্রে মোট পাঁচটি সমীক্ষা করার কথা আগেই জানিয়েছিল শ্রম মন্ত্রক। যার মধ্যে রয়েছে— পরিযায়ী শ্রমিক, বাড়ির কাজে যুক্ত মানুষ, পেশাদারদের মাধ্যমে তৈরি কর্মসংস্থান, পরিবহণ ক্ষেত্রে তৈরি হওয়া কর্মসংস্থান এবং সারা দেশে প্রতি ত্রৈমাসিকে সংস্থাগুলিতে কত কাজ তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে প্রথম এবং শেষটির জন্য পরিসংখ্যান সংগ্রহের কাজ বুধবার শুরু হল। আজ তার সূচনা করেন শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গঙ্গোয়ার। এর ফলে প্রতি বছর পরিসংখ্যান হাতের সামনে থাকলে বিভিন্ন নীতি তৈরির কাজ সহজ হবে বলে মনে করছে কেন্দ্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy