প্রতীকী ছবি।
জ্বালানি আমদানির খরচ ও দূষণ কমাতে বৈদ্যুতিকের পাশাপাশি বিকল্প জ্বালানির (সিএনজি) গাড়ির জোগান এবং ব্যবহার বাড়াতে জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। কিন্তু তেলের মতোই প্রাকৃতিক গ্যাসের (যা থেকে সিএনজি তৈরি হয়) দাম কয়েক মাসে অনেকটাই বেড়েছে। ফলে এমন গাড়ির চাহিদা নিয়ে সংশয় বাড়ছে গাড়ি শিল্পমহলের একাংশে। এই অবস্থায় ক্রেতাদের স্বস্তি দিতে সিএনজিকে জিএসটির আওতায় না আনা পর্যন্ত সেটির উপরে চাপানো কেন্দ্রীয় উৎপাদন শুল্ক হ্রাসের সুপারিশ করল কিরীট পারিখ কমিটি। তাদের প্রস্তাব, সিএনজিকে জিএসটিতে আনার জন্য সব পক্ষের সম্মতি দরকার। তার জন্য প্রয়োজনে রাজ্যগুলিকে পাঁচ বছরের জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া যেতে পারে।
প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম নির্ধারণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে পারিখ কমিটি তৈরি হয়েছিল। এখন দেশের প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্রগুলি থেকে উত্তোলন করা গ্যাসের দাম ছ’মাস অন্তর নির্ধারণ করে কেন্দ্র। তবে তা বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হওয়ায় ভারতেও তার প্রভাব পড়ে। তেল ও বিমান জ্বালানির মতো প্রাকৃতিক গ্যাসও জিএসটির আওতায় আসেনি। সিএনজির উপরে কেন্দ্র ১৪% উৎপাদন শুল্ক চাপায় এবং রাজ্যগুলি চাপায় ভ্যাট (সর্বোচ্চ ২৪.৫%)।
পারিখ কমিটি তাদের সুপারিশে গ্যাসকে জিএসটির আওতায় আনার কথা বলেছে। তবে এর জন্য যে রাজ্যগুলিকে সহমত হতে হবে তা-ও মানছে তারা। প্রসঙ্গত, গ্যাস জিএসটির আওতায় এলে গুজরাতের মতো গ্যাস উৎপাদনকারী রাজ্যগুলি রাজস্ব হারানোর আশঙ্কায় রয়েছে। কমিটির বক্তব্য, সে ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের জন্য রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া যেতে পারে। আর যতক্ষণ না জিএসটি চালু হচ্ছে, ততক্ষণ অন্তত সিএনজির উৎপাদন শুল্ক ছাঁটুক কেন্দ্র। দেশে উত্তোলন হওয়া গ্যাসের দরেও একটা ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া যাতে পারে। তাতে কমতে পারে সিএনজি-ও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy