—ফাইল চিত্র।
অতিবৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় এ বছর অসম ও বিহারে পাট চাষের ক্ষতি হয়েছে। অথচ এ রাজ্যে ছবিটা উল্টো। উত্তরবঙ্গের কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হলেও দুই দিনাজপুর ও মালদহে পাট গাছ ভিজিয়ে রাখার মতো জল পায়নি খাল-বিলগুলি। আবার দক্ষিণবঙ্গে গত মাস থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে ঠিকই, কিন্তু পাট উৎপাদনের জন্য যতটা জলের প্রয়োজন এখনও তার খামতি রয়েছে। বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, এই অবস্থায় কাঁচা পাটের উৎপাদন ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা যথেষ্ট।
বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের মোট পাট উৎপাদনের ৮০-৮৫ শতাংশই হয় উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে। ওই তিন জেলা-সহ
গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দক্ষিণের অধিকাংশ জেলাতেই নয়ানজুলি, পুকুর, খাল-বিলে পাট পচানোর জলের অভাব ছিল। তাই উৎপাদন মার খেতে পারে।
কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, যে কোনও চাষেই ঠিক সময়ে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত জরুরি। কিন্তু এ বছর বৃষ্টিই ঠিক সময়ে হয়নি। জাতীয় পাট পর্ষদের এক কর্তার ব্যাখ্যা, দুই দিনাজপুর ও মালদহে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে অল্প জল মিলেছে। কিন্তু পাট পচানোর জলের আকাল দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। বিভিন্ন সূত্রের খবর, কয়েকটি জেলায় কিছু দিন আগে পর্যন্তও বহু জমিতেই পাট গাছ থেকে গিয়েছিল। কোথাও গাছ কেটে ফেলে রাখা হয় রাস্তার ধারে। ফলে উৎপাদনের সঙ্গে জলের অভাবে মার খেতে পারে তন্তুর মানও।
দেশের মোট পাট উৎপাদনের বেশিরভাগটাই হয় পশ্চিমবঙ্গে। মার্চ-এপ্রিলে পাটের বীজ বোনার সময়ে রাজ্য জুড়েই ভাল বৃষ্টি হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই বস্ত্র মন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হয়, এই মরসুমে (জুলাই থেকে শুরু) ৮০ লক্ষ বেলের (১৮০ কেজিতে ১ বেল) বেশি কাঁচা পাট উৎপাদন হতে পারে। যা গত বছরের চেয়ে ৮-১০ লক্ষ বেল বেশি। কিন্তু এর পরেই বর্ষার খামখেয়ালিপনায় মাথায় হাত সংশ্লিষ্ট মহলের। কারণ, পাট গাছ ১২০ দিনের হলে জাঁক দেওয়ার সময় হয়ে যায়। ঠিক সময়ে গাছ পচাতে পারলে ভাল মানের কাঁচা পাটও মেলে। কিন্তু জলের অভাবে এখনও পর্যন্ত সেটাই ঠিক ভাবে হচ্ছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy