সম্প্রতি ঘাড়ে চেপে থাকা বিপুল ধারের বড় অংশকে শেয়ারে পরিবর্তন করে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনার কথা শুনিয়েছে জেট এয়ার। —ফাইল চিত্র।
নগদের অভাবে জেরবার জেট এয়ারওয়েজ কিছু দিন আগেই আশ্বাস দিয়েছিল, আর্থিক সঙ্কট কাটিয়ে ফের ঘুরে দাঁড়াবে তারা। কিন্তু সেই আশ্বাসে এখনও তেমন আস্থা রাখতে পারছে না জেটকে বিমান ভাড়া দেওয়া সংস্থাগুলি। যে কারণে সময়ে ভাড়ার টাকা না পাওয়ায় বসিয়ে দেওয়া বিমানের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। চুক্তি অনুযায়ী টাকা না মেলার পরে শনিবার বসে গিয়েছে সংস্থার আরও দু’টি বিমান। যার হাত ধরে বর্তমানে ওই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ২৩টিতে। যার মানে, জেটের প্রায় ২০% বিমানই আর পরিষেবা দিচ্ছে না।
সম্প্রতি ঘাড়ে চেপে থাকা বিপুল ধারের বড় অংশকে শেয়ারে পরিবর্তন করে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনার কথা শুনিয়েছে জেট এয়ার। দাবি করেছে, আবার যাত্রীদের পছন্দের তালিকায় প্রথম দিকে উঠে আসবে তারা। কর্ণধার নরেশ গয়ালেরও আশ্বাস, তিনি সংস্থা ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে সব ধরনের ত্যাগ স্বীকারে রাজি।
কিন্তু আশ্বাস যা-ই থাক, এ ভাবে একের পর এক বিমান বসে যাওয়ায় চিন্তিত সংশ্লিষ্ট মহল। বিশেষত সম্প্রতি এয়ার ইন্ডিয়া যেখানে জানিয়ে দিয়েছে, এখন থেকে জেট এয়ার এবং তাদের সস্তার শাখা জেট লাইটের বাতিল টিকিট থাকা যাত্রীদের নিজেদের বিমানে জায়গা দেবে না তারা। উল্লেখ্য, নিয়ম অনুসারে, একটি সংস্থার উড়ান কোনও কারণে বাতিল হলে, অন্য সংস্থাগুলি নিজেদের বিমানে যাত্রীদের জায়গা করে দেয়। আর বদলে সেই সব সংস্থাকে টাকা দেয় উড়ান বাতিল হওয়া সংস্থাটি।
যদিও জেট এয়ারের দাবি, বিমান বসে যাওয়ার দরুন পরিষেবা যাতে ভেঙে না পড়ে, সেই চেষ্টায় কসুর করছে না তারা। বিমান যাত্রীদের আগে থেকেই উড়ান বাতিলের তথ্য জানানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে করা হচ্ছে সফরের বিকল্প ব্যবস্থাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy