কাজপাগলের দেশ। তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। কিন্তু এই কাজের চাপেই বছরে অন্তত ৫০ জন মানুষের মৃত্যু হয় জাপানে। সরকারি পরিসংখ্যানেই উঠে এসেছে এমন ভয়ানক পরিস্থিতি। ছবিটা বদলাতে ২০২১ সাল থেকে মাঠে নেমেছে সরকার। সপ্তাহে কাজের
দিন চারে নামিয়ে আনায় উৎসাহিত করার চেষ্টা করছে সংস্থাগুলিকে। চাইছে
কাজের নমনীয়তা। কিন্তু উল্লেখযোগ্য সাড়া মেলেনি। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, শুধু সংস্থা নয়, কর্মীদের মানসিকতাও এ ক্ষেত্রে বাধা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে দেশটি যে কর্মসংস্কৃতিতে ঢুকে পড়েছে, তার থেকে দ্রুত বার হওয়া মুশকিল।
জাপানে জন্মহার কমেছে। আশঙ্কা, ২০৬৫ সালে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা নামতে পারে ৪.৫ কোটিতে। যা এখন ৭.৪ কোটি। অতিরিক্ত কাজের চাপে এই হাল বলে মত সকলের। কাজের সময় না কমালে অবস্থার উন্নতি হবে না বলে মনে করছে সরকার। এ দফায় তারা উঠেপড়ে লেগেছে। এমনিতে আইনত সে দেশে সপ্তাহে কাজের দিন ছয়। তবে সংসদের সুপারিশের ভিত্তিতে ছোট-বড় সংস্থাগুলির সঙ্গেও কথা বলতে শুরু করেছেন সরকারি প্রতিনিধিরা। তুলে ধরছেন পরিকল্পনা। রয়েছে প্রস্তাব মানলে ভর্তুকির সুবিধা। ভারতে ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা এন নারায়ণমূর্তি যুব সম্প্রদায়কে সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজের পরামর্শ দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। ঘটনাচক্রে প্রায় একই সময়ে জাপানের এই পদক্ষেপ।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)