কোভিডের সময় থেকে বন্ধ কগনিজ়্যান্টেের এই অফিস। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যে দু’টি প্রকল্পের কথা ঘোষণা করল দু’টি সংস্থা। যার হাত ধরে কর্মসংস্থান হবে প্রায় ১১,০০০ জনের।
বৃহস্পতিবার বণিকসভা সিআইআইয়ের সভায় ইসক্রাইমেকো ইন্ডিয়ার এমডি মদন মোহন চক্রবর্তী বলেন, “নিউটাউনের সিলিকন ভ্যালিতে পাঁচ একরে আধুনিক প্রযুক্তির স্মার্ট মিটার তৈরির কারখানা গড়তে চলেছি। ৯০০-৯৫০ কোটি টাকা লগ্নি হবে। প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হবে প্রায় ৯০০০ জনের।” অন্য দিকে, আমেরিকার তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা কগনিজ়্যান্টের বার্তা, সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে সংস্থার প্রথম ক্যাম্পাসটি নতুন করে তৈরি হচ্ছে। লগ্নির অঙ্ক তারা বলেনি। তবে কাজের সম্ভাবনা প্রায় ২০০০ জনের।
মহীশূর এবং হায়দরাবাদে দু’টি কারখানা আছে ইসক্রাইমেকোর। দু’টি মিলিয়ে মাসে ৪০,০০০ স্মার্ট মিটার তৈরির ক্ষমতা। যদিও সেগুলি কলকাতার প্রস্তাবিত কারখানার চেয়ে আকারে ছোট। মদন মোহন জানান, ৯ লক্ষ বর্গফুট জুড়ে তৈরি হবে কলকাতারটি। দৈনিক ১০০০ মিটার তৈরির লক্ষ্য। শীঘ্রই কারখানা তৈরির কাজ শুরু হবে। তাঁর দাবি, “এই স্মার্ট মিটার জল, গ্যাস ও বিদ্যুতের জন্য ব্যবহার করা যাবে। সব রাজ্যেই হয় এটি ব্যবহার করা হচ্ছে বা হতে চলেছে। সেই বাজার ধরতে এই উদ্যোগ।” এখন ইসক্রাইমেকো গুজরাত এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে পণ্য সরবরাহ করে। জুগিয়েছে সিইএসসি-কেও। এ রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১.৪০ লক্ষ স্মার্ট মিটার বসানো হয়েছে। কলকাতার কারখানা তৈরি হলে গোটা রাজ্য এবং গুজরাতের পাশাপাশি গোয়া ও কর্নাটকেও পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থার।
অন্য দিকে, কগনিজ্যাজ়্যান্টের কলকাতার অপারেশন হেড সাজিদ হুসেন জানান, শহরে কর্মী বাড়াচ্ছেন তাঁরা। তিনি বলেন, “সেক্টর ফাইভে সংস্থার প্রথম অফিসটি কোভিডের সময় থেকে বন্ধ। সেটিই নতুন করে তৈরির পরে খুলছি। ১২-১৮ মাসের মধ্যে অন্তত ২০০০ কর্মসংস্থান হবে।” কলকাতায় এখন সংস্থার ১৯,০০০ কর্মী। সাজিদের দাবি, এ রাজ্যের মতো মেধাসম্পদ অন্য কোথাও তেমন মেলে না। তাই ক্যাম্পাস বাড়িয়ে আরও কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy