—প্রতীকী ছবি।
অক্টোবরের প্রথম দিনেই সেনসেক্স-নিফটির সূচকে দেখা গিয়েছে বড় পতন। উৎসবের মরশুমের মুখে যা দেখে লগ্নিকারীদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। যদিও এর মধ্যেই আশার আলো দেখাচ্ছে ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং বা আইপিও। গত মাসেই সেখান থেকে পাওয়া দুর্দান্ত মুনাফায় পকেট ভরিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
শেয়ার বাজারের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে মোট ৪৭টি সংস্থা আইপিওর মাধ্যমে বাজার থেকে তুলেছে ১৬ হাজার ১৫২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৩টি মেইন বোর্ড শ্রেণির সংস্থা বলে জানা গিয়েছে। গত মাসে সবচেয়ে বড় আইপিও আনে বজাজ হাউজ়িং ফিন্যান্স। যার আকার ছিল ৬ হাজার ৫৬০ কোটি।
বজাজ হাউজ়িংয়ের পর সেপ্টেম্বরে আইপিওর মাধ্যমে বাজার থেকে দ্বিতীয় যে সংস্থাটি সবচেয়ে বেশি টাকা তুলেছে, তা হল প্রিমিয়ার এনার্জিস। আইপিওর মাধ্যমে ২,৮৩০.৪ কোটি টাকা পেয়েছে এই কোম্পানি। এ ছাড়া ছোট ও মাঝারি শ্রেণির আইপিও আনা সংস্থার সংখ্যা ছিল ৩৪।
সেপ্টেম্বরে তালিকাভুক্ত হওয়া এই ৪৭টি সংস্থার ৬১ শতাংশেরই আইপিওর প্রাইস ব্যান্ডের চেয়ে বেশি টাকায় চলছে শেয়ারের লেনদেন। সবচেয়ে বেশি মুনাফা দিচ্ছে ট্রাভেল অ্যান্ড রেন্টালস্ নামের সংস্থা। এর শেয়ারের দর চড়েছে ২৮৩ শতাংশ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্রিমিয়ার এনার্জিস ও নমো ইওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট। এই দুই সংস্থার শেয়ারে ১৪৬ ও ১২৭ শতাংশ ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গিয়েছে।
সেপ্টেম্বরের আইপিওগুলিতে খুচরো বিনিয়োগকারীদের আবেদনের পরিমাণ ছিল চোখে পড়ার মতো। ছোট ও মাঝারি ক্যাটেগরির সংস্থার শেয়ার পেতে ১০০ শতাংশ আবেদন করেছেন তাঁরা। সেই ধারা বর্তমানেও অব্যাহত রয়েছে। এখন বেশ কয়েকটি আইপিওতে আবেদনের পরিমাণ ২০০০ গুণ পর্যন্ত হতে দেখা যাচ্ছে। চলতি মাসেও তালিকাভুক্তির দিনেই লগ্নিকারীরা ১০০ শতাংশ মুনাফা পাবেন বলে আশাবাদী বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার অনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy