অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। —ফাইল চিত্র।
দূষণ হ্রাসের লক্ষ্যে অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে উদ্যোগী হয়েছে ভারত। পাশাপাশি জ্বালানির চাহিদার প্রায় ৮৫ শতাংশই আমদানি করায় সেই খাতে ব্যয় হয় বিপুল। এই অবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ি-সহ বিকল্প জ্বালানি নির্ভর ক্ষেত্রকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্র। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ফের বিকল্প জ্বালানি ক্ষেত্রে একগুচ্ছ পদক্ষেপের বার্তা দিলেন। দাবি করলেন, বৈদ্যুতিক গাড়ির সহায়ক পরিবেশ গড়ায় জোর দেবে সরকার। এই ভাবনাকে স্বাগত জানালেও বণিকমহলের একাংশের দাবি, এই শিল্পের বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক হ্রাস করাও জরুরি। এ দিনের প্রস্তাবে যার কোনও উল্লেখ না থাকায় খানিকটা হতাশ তারা।
নির্মলার এ দিনের প্রস্তাবের অন্যতম, সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় ১ গিগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প গড়তে আর্থিক সহায়তা, বৈদ্যুতিক গাড়ির উৎপাদন ও চার্জিং পরিকাঠামো নির্মাণে গুরুত্ব। গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়ামের প্রেসিডেন্ট বিনোদ আগরওয়াল প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েও বলেন, চার্জিং পরিকাঠামো নাকি বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি— কোনটিতে আগে জোর দেওয়া হবে তা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে গাড়ি শিল্পের। বেঙ্গল চেম্বারের আর্থিক বিষয়ক ও কর সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারপার্সন বিবেক জালানের বক্তব্য, যেহেতু এই সব ক্ষেত্রের প্রযুক্তি ভারতে মেলে না, তাই আমদানির উপরে নির্ভর করতে হয়। ওই সমস্ত গাড়ির এবং লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক হ্রাস জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy